যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণা দেওয়া পাল্টা শুল্ক কার্যকর হলে বাংলাদেশের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ কমতে পারে। এ ছাড়া দেশের জিডিপি (মোট দেশজ উৎপাদন) প্রবৃদ্ধি কমতে পারে শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ। সম্প্রতি গ্লোবাল ট্রেড অ্যানালাইসিস প্রকল্পের আওতায় এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সেলিম রায়হান ও ইউনাইটেড নেশন্স ইউনিভার্সিটির ওয়ার্ল্ড ইনস্টিটিউট ফর ডেভেলপমেন্ট ইকোনমিকস রিসার্চের পরিচালক কুনাল সেন এ গবেষণা করেন। গবেষণায় তারা বলেছেন, ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক যদি পণ্য রপ্তানিতে আরোপ না হয়ে বহাল থাকে সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জিডিপিতে কোনো প্রভাব পড়বে না। উল্টো রপ্তানি ১ দশমিক ১ শতাংশ বাড়তে পারে। পাল্টা শুল্কের প্রভাবে বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশগুলো প্রাথমিকভাবে লাভবান হলেও দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আগামী দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে এ প্রভাব দেখা যাবে। গবেষণায় সেলিম রায়হান ও কুনাল সেন দেখিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্কের কারণে বিশ্বজুড়ে রপ্তানির ধারা বিকৃত হবে। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। পাল্টা শুল্ক আরোপ হলে চীনের রপ্তানি ১০ দশমিক ৮ শতাংশ সংকুচিত হবে। যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষতি হবে ১১ দশমিক ৭ শতাংশ।
এখান থেকে বের হওয়ার সমাধান হিসেবে এ দুই গবেষক মনে করেন, উদীয়মান ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর উচিত রপ্তানির বহুমুখীকরণ করা। এজন্য কার্যকর একটি ব্যবস্থার উদাহরণ হতে পারে রিজিওনাল কমপ্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ। পাশাপাশি উন্নয়নশীল দেশগুলোর উচিত শুল্ক, বন্দর ব্যবস্থাপনা ও লজিস্টিকস সেবার উন্নতি ঘটানো। এতে যেমন ব্যবসার খরচ কমবে, তেমন প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়বে। তখন উন্নয়নশীল দেশগুলোর পক্ষে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে অংশগ্রহণের সুযোগ বাড়বে।