রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, ‘আমি রাশিয়ান ও ইউক্রেনীয়দের এক জাতি বলে মনে করি। সেই অর্থে, সমস্ত ইউক্রেন আমাদের।’
তিনি আরও বলেন, ‘যেখানেই একজন রাশিয়ান সৈন্য পা রাখবে, সেটাই আমাদের বলে প্রচলিত রয়েছে।’
শুক্রবার এক বক্তব্যে পুতিন রাশিয়ান বাহিনী ইউক্রেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় নগরী সুমি দখলের চেষ্টার বিষয়টিকে ‘উড়িয়ে দিচ্ছেন না।’
তার এ বক্তব্য মস্কো ও কিয়েভের শান্তি আলোচনার সম্ভাবনা নিয়ে নতুন করে সন্দেহের উদ্রেক করেছে।
ইউক্রেন বলেছে, পুতিনের মন্তব্য শান্তি প্রক্রিয়ার প্রতি ‘অবমাননার’ বহিঃপ্রকাশ।
তিন বছরের সংঘাত অবসানের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা সম্প্রতি স্থবির হয়ে পড়েছে। ইউক্রেনের ওপর পূর্ণাঙ্গ আক্রমণ দীর্ঘায়িত করার লক্ষ্যে মস্কোর বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃতভাবে শান্তি চুক্তি নস্যাৎ করার অভিযোগ করেছে কিয়েভ।
রাশিয়া বর্তমানে ইউক্রেনের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ এলাকা দখল করে আছে। ২০১৪ সালে দখলকৃত ক্রিমিয়ান উপদ্বীপ ছাড়াও ২০২২ সালে আক্রমণ শুরু করার পর থেকে চারটি ইউক্রেনীয় অঞ্চলকে নিজেদের বলে দাবি করছে রাশিয়া।
সুমি অঞ্চলটি মস্কোর আনুষ্ঠানিক সংযুক্ত অঞ্চলগুলোর মধ্যে নেই। তবে রাশিয়ান বাহিনী সম্প্রতি তিন বছরের চলমান যুদ্ধে প্রথমবারের মতো সেখানে প্রবেশ করেছে।
সেন্ট পিটার্সবার্গে রাশিয়ার প্রধান অর্থনৈতিক ফোরামে, ইউক্রেনীয় রাষ্ট্রত্বের প্রতি অস্বীকারের পুনরাবৃত্তি করে পুতিন বলেন, মস্কো সীমান্তে একটি ‘বাফার জোন’ তৈরির অংশ হিসেবে সুমি দখল করতে পারে।
তিনি আরো বলেন, সুমি অঞ্চলটির দখল নেওয়ার উদ্দেশ্য না থাকলেও, এটি সীমান্তবর্তী এলাকায় ক্রমাগত গোলাবর্ষণ হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে। যে কারণে তিনি নীতিগতভাবে এটি উড়িয়ে দিচ্ছেন না।
সেনাবাহিনী কেন এমন জায়গায় প্রবেশ করছে যেটি মস্কো তাদের নিজস্ব বলে দাবি করে না-এমন প্রশ্নের জবাবে পুতিন বলেন, ‘আমি রাশিয়ান ও ইউক্রেনীয়দের এক জাতি বলে মনে করি। সেই অর্থে, সমস্ত ইউক্রেন আমাদের।’
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রি সিবিগা পুতিনের মন্তব্যকে ‘অবাস্তব’ বলে অভিহিত করে কিয়েভের মিত্রদের রাশিয়ার ওপর ‘কঠোর নিষেধাজ্ঞা’ আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন।
সূত্র : রয়টার্স।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত