কেরানীগঞ্জে অজ্ঞাতপরিচয় নারীর বস্তাবন্দি খণ্ডিত লাশ উদ্ধারের তদন্ত করতে গিয়ে চাঞ্চল্যকর তিন খুনের তথ্য পেয়েছে পুলিশ। নিহত ব্যক্তিরা হলেন- মহিউদ্দিনের সাবেক স্ত্রী বীথি আক্তার (২৪), বীথির চার বছরের শিশুসন্তান মো. রাফসান এবং ভাড়াটে নূপুর আক্তার (২৫)।
মহিউদ্দিন বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার গোয়ালবাড়িয়া এলাকার মৃত রুস্তম আলীর ছেলে। এ ঘটনায় জড়িত এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর নাম মহিউদ্দিন হাওলাদার ওরফে শিমুল (৩১)। মুঠোফোনে রিচার্জ কার্ডের সূত্র ধরে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনের দাবি করেছে পুলিশ। গতকাল বিকালে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন ঢাকা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কেরানীগঞ্জ সার্কেল) জাহাঙ্গীর আলম। তিনি জানান, শুক্রবার রাতে ৯৯৯-এ কল পেয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের পূর্ব আগানগর বাঘাবাড়ি এলাকায় সড়কের পাশে পড়ে থাকা একটি সাদা প্লাস্টিকের বস্তা থেকে অজ্ঞাতনামা এক নারীর খণ্ডিত লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশের হাত-পা ও মাথা না থাকায় পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। রবিবার বিকালে আবারও ৯৯৯-এর মাধ্যমে খবর পেয়ে পোস্তগোলা সেতুর পূর্ব পাশে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে ভাসমান অবস্থায় মানবদেহের তিনটি খণ্ডিত অংশ উদ্ধার করা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মহিউদ্দিন মাদকাসক্ত ছিলেন। নূপুর ও রাফসানের লাশের খণ্ডিত অংশ উদ্ধার করা গেলেও বীথির লাশের খণ্ডিত অংশ উদ্ধার করা যায়নি। এ ঘটনায় বীথির বোন সাথী আক্তার বাদী হয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেছেন।
মামলা রেকর্ডের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ তিন খুনের তথ্য পেয়েছে।