আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে হওয়া রাজনৈতিক হয়রানিমূলক ৭ হাজার ১৮৪টি মামলা আইন মন্ত্রণালয় থেকে প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হয়েছে। ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের জন্য এসেছে। অনেকে অনেকভাবে নাম ঢুকিয়ে দেয়। প্রতিনিয়ত আমাদের আইন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা খতিয়ে দেখছেন। তারা অত্যন্ত দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করছেন।
গতকাল সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে আইন উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। আসিফ নজরুল আরও বলেন, একটা মামলা প্রত্যাহারের ক্ষেত্রে অনেক কাগজপত্র প্রত্যাহার করতে হয়। এর চেয়ে দ্রুত কাজ করা সম্ভব কি না আমার জানা নেই। এরপরও আমরা আরও কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়ে এটাকে দ্রুততর করার চেষ্টা করছি। আমাদের সরকারের মেয়াদের মধ্যে অন্তত ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারব। এক প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, আসামিরা জামিন পেলে আইন মন্ত্রণালয়ের সমালোচনা করা হয়। কিন্তু যারা জামিন পেয়েছেন তারা উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন। এখানে আইন মন্ত্রণালয়ের কোনো কিছু করণীয় নেই। আর নিম্ন আদালত থেকে যারা জামিন পেয়েছেন, তারা সন্দেহজনকভাবে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তারা এজাহারভুক্ত মামলার আসামি নয়। পুলিশ রিপোর্টে যাদের রাজনৈতিক কিংবা অপরাধের বিস্তারিত বিবরণ থাকে না তাকে জামিন দেওয়া ছাড়া আদালতের করণীয় থাকে না।