বছর ঘুরে আবারও এসেছে বৈসাবি। তাই নানা উৎসবে মেতে উঠেছে পার্বত্যাঞ্চলের ১০ ভাষাভাষী ১১টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী। উৎসব রাঙাতে বসেছে মেলা। চলছে খেলাধুলা। উৎসবে প্রাণ দিয়েছে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর তরুণ-তরুণীদের নাচ আর গানের আসর। মূলত পুরোনো বছরকে বিদায় আর নতুন বছরকে বরণ করতে নৃ-গোষ্ঠীদের এ আয়োজন। এ বৈসাবি ঘিরে রাঙামাটিতে এখন উৎসবের আমেজ।
গতকাল সকাল ১০টায় রাঙামাটি পৌরসভা চত্বরে বিজু, সাংগ্রাই, বৈসু বিষু, বিহু, সাংক্রাই, চাংক্রান উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান উদ্বোধক ছিলেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কৃষিবিদ কাজল তালুকদার।
বিজু, সাংগ্রাই, বৈসু বিষু, বিহু, সাংক্রাই, চাংক্রান উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক প্রকৃতি রঞ্জন চাকমার সভাপতিত্বে এতে রাঙামাটি চাকমা সার্কেল চিফ রাজা ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়, সাবেক সংসদ সদস্য ঊষাতন তালুকদার, উৎসব কমিটির সদস্যসচিব ইন্টু মনি তালুকদার উপস্থিত ছিলেন।
এ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে টানা চার দিনের বৈসাবির আনুষ্ঠানিকতা। এরই মধ্যে বৈসাবিকে প্রাণবন্ত করতে নানা অনুষ্ঠানে মেতে উঠেছে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর তরুণ-তরুণী। নাচে গানে উৎসবের জোয়ার বইছে পাহাড়জুড়ে। জীবনের সমস্ত গ্লানি ভুলে আবার বৈসাবির রঙে রাঙাতে চাই ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীরা। এ উৎসবের আনন্দে পার্বত্যাঞ্চলের নতুন প্রজন্ম সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়বে বলেছেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কৃষিবিদ কাজল তালুকদার। এ উৎসবে শুধু ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীরা নয়, বাঙালি ছেলেমেয়েরা অংশ নিয়ে বৈসাবিকে রঙিন করে সম্প্রীতির মেলবন্ধন রচনা করেছে।
বিজু, সাংগ্রাই, বৈসু বিষু, বিহু, সাংক্রাই, চাংক্রান উদযাপন কমিটির উদ্যোগে আগামী ১০ এপ্রিল আদিবাসী জুম্ম খেলাধুলা, ১১ এপ্রিল কবিতা পাঠ ও সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান, ১২ এপ্রিল ফুলবিজু উৎসব পালন করা হবে।