আওয়ামী লীগ ও তার দোসররা (শরিক রাজনৈতিক দলগুলো) যেন নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে সেজন্য তাদের নিবন্ধন বাতিল বা স্থগিত করার জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি জানিয়েছে গণ অধিকার পরিষদ। একই সঙ্গে ভুঁইফোড় ও কিংস পার্টির হালনাগাদ তথ্য নিয়ে তাদের নিবন্ধনও স্থগিত করার দাবি করেছে দলটি।
গতকাল নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে গণ অধিকার পরিষদের আট সদস্যের প্রতিনিধি দলের বৈঠক শেষে এসব তথ্য জানান গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কি, করবে না সেই সিদ্ধান্ত অবশ্যই নির্বাচন কমিশন একা নিতে পারবে না। এ জন্য রাজনৈতিক ঐকমত্য তৈরি হতে হবে। সরকারেরও এখানে ভূমিকা নিতে হবে। উপদেষ্টার সঙ্গে গত মিটিংয়েও রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য হয়েছে যে আওয়ামী লীগ ও তার দোসররা যেন নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে- সেজন্য তাদের বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে। এ ছাড়া ভুঁইফোড় ও কিংস পার্টির হালনাগাদ তথ্য নিয়ে নিবন্ধন স্থগিত তারা করতে পারে। তিনি বলেন, এখন পপুলার ডিমান্ড তৈরি হয়েছে ফ্যাসিবাদের সঙ্গে জড়িত আওয়ামী লীগ এবং দোসরদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা। তাহলে নিবন্ধন তো অটো বাতিল হবে অবশ্যই। তিনি আরও বলেন, অনেক দিন ধরেই প্রবাসীরা ভোট দেওয়ার অধিকার চাচ্ছেন। প্রবাসীদের ভোটদানের সুযোগ নিশ্চিত করতে কমিশন কী কাজ করছে, এটা আদৌ সম্ভব কি না সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। কমিশন বলেছে- তারা চেষ্টা করছে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা চলছে স্থানীয় নির্বাচনগুলো আগে হওয়ার কথা। সেক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন যেহেতু স্বাধীন প্রতিষ্ঠান, তারা কারও নির্দেশনায় নির্বাচন করবে না। তবে তারা যেহেতু সংকটকালীন দায়িত্ব নিয়েছে, একটা অর্থবহ নির্বাচনের জন্য সেখানে রাজনৈতিক ঐকমত্য জরুরি। প্রধান উপদেষ্টা যে একটা সম্ভাব্য ভোটের সময় দিয়েছেন, সেটাকে সামনে রেখেই তারা একটা প্রস্তুতি নিচ্ছেন। স্থানীয় নির্বাচন নিয়ে যদি ঐকমত্য তৈরি হয়, তাহলে তারা বিবেচনা করবেন। যদি ঐকমত্য না হয়, তারা তো তা করতে পারবেন না। সুষ্ঠু নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচনে যারা দায়িত্ব পালন করবেন- তারা যেন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত না থাকে; সেটা কমিশন আগেভাগেই নিশ্চিত করবে। বিগত বিতর্কিত নির্বাচনে যারা জড়িত তথা দায়িত্বে ছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র যে ব্যবস্থা নেবে, তা রাষ্ট্র নেবে।
কিন্তু আমরা পরিষ্কারভাবে বলেছি তারা যেন নির্বাচনি দায়িত্বে না থাকে। তিনি বলেন, আমরা কারও নেতৃত্বে কোনো জোটে যাচ্ছি না। ছাত্ররা নতুন দল করছে। তবে তাদের সঙ্গে দল করা, তাদের সঙ্গে জোট করা এসব আলোচনা নেই। কারণ তারা এখনো দলই গঠন করে নাই। আগামী নির্বাচনে আমরা দলীয় মার্কায় অংশ নেব। আলোচনা হচ্ছে আমাদের নেতৃত্বে যারা কাজ করবে আগামীতে তাদের নিয়ে একটা জোট হতে পারে।