নারীর দেহ উদ্ধারের ২৪ ঘণ্টা পর মাথা উদ্ধার করেছে পুলিশ। হত্যায় জড়িত সন্দেহে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার চতরা ইউনিয়নের বড় বদনাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত নারীর নাম দেলোয়ারা বেগম ঝিনুক (৩৪)। তিনি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার দিলালপুর গ্রামের মৃত মহির উদ্দিনের ছেলে রেজাউল ইসলামের স্ত্রী। তার বাবার বাড়ি নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার গোলকুলা গ্রামে। তার বাবা রবিউল ইসলাম একজন কৃষক। পুলিশ সূত্র মতে, দেলোয়ারা বেগম পেশায় নৃত্যশিল্পী ছিলেন। তিনি পীরগঞ্জ উপজেলার চতরা ইউনিয়নের বড় বদনাপাড় গ্রামে আতিকুর রহমানের বাড়িতে থাকতেন। সম্প্রতি আতিকুরের সঙ্গে দেলোয়ারার মতের অমিল হয়। আতিকুরকে গ্রেপ্তারের পর তার স্বীকারোক্তি মতে নিহত দেলোয়ারার মাথার সন্ধান পাওয়া গেছে বলে জানায় পুলিশ।
এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে কে বা কারা মরিচ খেতে এক নারীর মস্তকবিহীন লাশ ফেলে চলে যায়। পরদিন এলাকাবাসী থানায় সংবাদ দিলে, পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। এর পর চলতে থাকে অনুসন্ধান। ২৪ ঘণ্টা পর গতকাল বিকালে পুলিশ মস্তকটি উদ্ধার করে। বড় বদনাপাড়া গ্রামের করতোয়া নদীর তীরে বালির মধ্যে দেলোয়ারা বেগমের মাথা পুঁতে রাখা হয়েছিল। পীরগঞ্জ থানার ওসি এম এ ফারুক বলেন, হত্যাকারীর স্বীকারোক্তি ও তথ্যের ভিত্তিতে নিহতের মস্তক উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে পুলিশ বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেছে।