চট্টগ্রামের রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা (ইপিজেড) নিয়ে মিথ্যা প্রচারণা ও গুজব ছড়িয়ে শিল্প খাতকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উপকমিশনার (জনসংযোগ) রইছ উদ্দিন। গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ২২ জানুয়ারি চট্টগ্রাম ইপিজেডের শেলটেক ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের নির্মাণাধীন ভবনের গেটের ভিতরে ৩ শিশু প্রবেশ করলে তাদের মেরে ফেলা হয়েছে বলে গুজব ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এতে শ্রমিকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। যার ফলে ২৩ জানুয়ারি বিকাল ও রাতে ইপিজেড থানার বিভিন্ন কারখানার ২০০-২৫০ জন শ্রমিক সেখানে গিয়ে শ্রমিকদের ঘর ও বিভিন্ন অফিস ভাঙচুরসহ সেখানে থাকা দুটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেন। পরে পুলিশ ও বিভিন্ন বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
উপকমিশনার বলেন, যে তিন শিশুকে মেরে ফেলা হয়েছে বলে গুজব ছড়ানো হয়েছিল সেই শিশুদের সুস্থ ও স্বাভাবিক অবস্থায় পুলিশ উদ্ধার করেছে। বর্তমানে তারা পুলিশের তত্ত্বাবধানে নিজ নিজ অভিভাবকের জিম্মায় আছে। কারখানার ওপর যাদের জীবিকা নির্বাহ হয়, সে শ্রমিকরা এসব করতে পারে না। দেশ ও রাষ্ট্রবিরোধী মহল সুপরিকল্পিতভাবে এসব গুজব ছড়াচ্ছে। এর সঙ্গে বহিরাগতরাও যুক্ত হচ্ছে। দেশের পোশাক খাত অস্থিতিশীল হলে এখানে বিদেশি বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হবে।