সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে উদ্দেশ করে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিব বলেছেন, ‘বিচারব্যবস্থা এনালগ করে রেখেছেন, আপনি আইসিটি মন্ত্রী থাকাকালে কেন ডিজিটাল কোর্ট করে দেননি? তাহলে আদালতে আসতে হতো না। কারাগারে বসে হাজিরা দিতেন।’
তখন মহানগর দায়রা জজকে পলক জানান, করোনার সময় চালু করেছিলাম। অনেক সীমাবদ্ধতা ছিল, চেষ্টা করেছি। পরে আর আগানো যায়নি। গতকাল দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামলের ছেলে শাফি মোদ্দাছির খান জ্যোতিকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদনের জন্য আদালতে হাজির করে পুলিশ। এর পর বিচারক এ কথা বলেন। পলককে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক আল আমিন। আবেদনে বলা হয়, আসামি পলক যাত্রাবাড়ী থানার এক মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে জেলহাজতে অন্তরীণ আছেন। তিনি সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এর মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি। জেলহাজতে অন্তরীণ এজাহারনামীয় এ আসামিকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ প্রদান একান্ত প্রয়োজন। জ্যোতিকে গ্রেপ্তার দেখাতে আবেদন করেন কমিশনের সহকারী পরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদ। আবেদনে বলা হয়, আসামি শাফি মোদ্দাছির খান (জ্যোতি) ও তার পিতা সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল পরস্পর যোগসাজশে ১৯ কোটি ৮৯ লাখ ৭৮ হাজার ৫০২ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনপূর্বক নিজ ভোগদখলে রাখেন এবং তার নামে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান খুলে নিজ এবং ওই প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যবহৃত ব্যাংক হিসাবে মোট ৮৪ কোটি ৭৭ লাখ ৫৭ হাজার ৫৭২ টাকা হস্তান্তর, রূপান্তর, স্থানান্তরের মাধ্যমে সন্দেহজনক অসংখ্য লেনদেন করেন।