আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের আকাশসীমা গতকাল এবং আজ তিন ঘণ্টার জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে আন্তদ্বীপ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার জন্যই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। একটি ‘নোটিস টু এয়ারম্যান’ (নোটাম) জারি করে জানানো হয়েছে, এই সময়ে দ্বীপপুঞ্জের আশপাশে কোনো উচ্চতাতেই কোনো বিমান চলাচল করতে পারবে না। নোটামে বলা হয়েছে, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের ওপর এবং আশপাশের আকাশসীমা, যার সর্বোচ্চ করিডর দৈর্ঘ্য প্রায় ৫০০ কিলোমিটার। ২৩ এবং ২৪ মে সকাল ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত বিমান চলাচল সীমিত থাকবে। আকাশসীমা বন্ধের প্রসঙ্গে একজন কর্মকর্তা সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেছেন, গতকাল আমরা সফলভাবে একটি উচ্চ-উচ্চতার অস্ত্রের পরীক্ষা করেছি এবং আজ একই ধরনের পরীক্ষা করা হবে। আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে এটি একটি নিয়মিত অনুশীলন, আমরা অতীতেও একই ধরনের পরীক্ষা করেছি। -এনডিটিভি
উল্লেখ্য, আন্দামান ও নিকোবর কমান্ড (এএনসি) ভারতের একমাত্র ত্রি-পরিষেবা কমান্ড। এ সম্ভাব্য ভূমি-আক্রমণকারী ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা এমন এক সময়ে হচ্ছে যখন ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে শান্তি বিরাজ করছে। তবে ভারত সরকার ‘অপারেশন সিঁদুর’ এখনো চলমান বলে জানিয়েছে। এ অঞ্চলে সর্বশেষ বড় পরীক্ষা ছিল জানুয়ারিতে ভারতে তৈরি ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল উৎক্ষেপণ। কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং সম্প্রতি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের বিমান প্রতিরক্ষায় এ ক্ষেপণাস্ত্রের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন। পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনার সময় ভারতের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অংশ ছিল দেশীয়ভাবে তৈরি ‘আকাশতীর্থ’ বিমান প্রতিরক্ষা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মতে, ৯ ও ১০ মে রাতে পাকিস্তান যখন ভারতীয় সামরিক ও বেসামরিক এলাকায় সবচেয়ে মারাত্মক হামলা চালায়, তখন ‘আকাশতীর্থ’ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের ঝাঁক ঠেকিয়ে এক অদৃশ্য দেয়াল হিসেবে কাজ করেছিল।