ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে (ডিআর কঙ্গো) চলমান সশস্ত্র সংঘাত থামাতে দেশটির সরকার ও রুয়ান্ডা-সমর্থিত এম২৩ বিদ্রোহীরা অবশেষে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। মধ্যস্থতা করেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। কাতারে অনুষ্ঠিত আলোচনা শেষে শনিবার (১৯ জুলাই) দুই পক্ষের প্রতিনিধিরা এ সংক্রান্ত ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেন বলে জানিয়েছে আল জাজিরা।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলে এম২৩ বিদ্রোহীদের হামলা ও বড় দুটি শহর দখলের মধ্য দিয়ে আবারও চরম আকার ধারণ করে সংঘাত। কিন্তু এই সহিংসতার শিকড় আরও গভীরে, ১৯৯৪ সালের তুতসি গণহত্যা প্রতিরোধে গঠিত এম২৩ প্রায় তিন দশক ধরে পূর্ব কঙ্গোতে সক্রিয়। এই সময়ের মধ্যে হাজারো মানুষ প্রাণ হারান, লাখো বেসামরিক মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়ে।
বিদ্রোহীরা বর্তমানে কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকায় নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখেছে। ওই অঞ্চলেই অবস্থিত বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ কোবাল্ট, কোল্টন, সোনা, তামা ও লিথিয়াম খনিজ ভাণ্ডার।
গত বছর এম২৩-এর সঙ্গে চীনের যোগাযোগের তথ্য প্রকাশ্যে আসে, যা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয় আন্তর্জাতিক মহলে। পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমের দাবি, রুয়ান্ডা ও এম২৩-এর মাধ্যমে খনিজ সম্পদ কব্জা করতে চাইছে বেইজিং। ফলে কঙ্গোর প্রেসিডেন্ট ফেলিক্স শিসেকেদির প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র রুয়ান্ডাকে আলোচনায় আনতে সক্রিয় হয়।
অবশেষে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিয়োর উদ্যোগে রুয়ান্ডার সঙ্গে শান্তিচুক্তির ভিত্তি তৈরি হয়, যার ধারাবাহিকতায় এবার এম২৩ বিদ্রোহীদের সঙ্গেও চুক্তিতে পৌঁছাল কঙ্গো সরকার।
চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে আফ্রিকান ইউনিয়ন। সংস্থাটির চেয়ারপারসন মাহমুদ আলি ইউসুফ এক বিবৃতিতে বলেন,'পূর্ব কঙ্গো এবং বৃহত্তর গ্রেট লেকস অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা অর্জনের ক্ষেত্রে এটি একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ।'
সূত্র: আল জাজিরা
বিডি প্রতিদিন/মুসা