তাইওয়ানকে ঘিরে ক্রমেই বাড়ছে চীনের চাপ। কখনো সমুদ্রের বালু কেটে নেয়া, কখনো পানির নিচে তার কেটে ফেলা—সবই হচ্ছে যুদ্ধ ঘোষণা না করেই দ্বীপটিকে বিপাকে ফেলতে। এই ধরনের চাপকে বলা হয় ‘গ্রে জোন থ্রেট’। মানে সরাসরি যুদ্ধ নয়, তবে নানা ভাবে ঘায়েল করার কৌশল।
এই পরিস্থিতিতে নিজেদের প্রস্তুত রাখতে রবিবার তাইওয়ানের কোস্ট গার্ড ও সেনাবাহিনী দক্ষিণ তাইওয়ানের কাউশিয়ুং বন্দরে যৌথ মহড়া চালিয়েছে ।
মহড়ায় দেখানো হয়, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসীরা একটি ফেরি দখল করেছে। এরপর কোস্ট গার্ড, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্ধারকারী হেলিকপ্টার এবং সেনাবাহিনীর মেডিকেল হেলিকপ্টার মিলে যাত্রীদের উদ্ধার করে এবং ফেরির নিয়ন্ত্রণ নেয়। প্রথমবারের মতো এই মহড়ায় একসঙ্গে উড়েছে নৌবাহিনীর সাবমেরিন প্রতিরোধী হেলিকপ্টার এবং দুটি মেডিকেল-রেস্কিউ হেলিকপ্টার।
মহড়াটি সরাসরি তদারকি করেন তাইওয়ানের নতুন প্রেসিডেন্ট লাই ছিং-তে। তিনি বলেন, চীন থেকে আসা এই ধরণের ধাপে ধাপে হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রথম সাড়া দেয় কোস্ট গার্ড। তারা আমাদের আইনের শাসন ও জনগণের নিরাপত্তার জন্য লড়ছে।
তাইওয়ানের সরকার জানিয়েছে, যুদ্ধ লাগলে কোস্ট গার্ডকে সামরিক বাহিনীর অংশ করা হবে। এখন থেকেই তাদের প্রশিক্ষণ ও সরঞ্জাম সে অনুযায়ী আধুনিক করা হচ্ছে।
বর্তমানে তারা আনপিং শ্রেণির নতুন যুদ্ধজাহাজ পাচ্ছে, যেগুলোর নকশা হয়েছে নৌবাহিনীর তুও চিয়াং শ্রেণির জাহাজের ভিত্তিতে।
এইসব আধুনিক স্টেলথ জাহাজ দ্রুতগতির ও আকারে ছোট হলেও বড় যুদ্ধজাহাজ ধ্বংস করতে পারে। এতে তাইওয়ানে তৈরি হ্সিয়ুং ফেং ক্ষেপণাস্ত্র বসানোর সুবিধা রয়েছে। এছাড়া উদ্ধার অভিযান চালানোর প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতিও রয়েছে। এই ধরনের একটি জাহাজ মহড়ায় অংশও নেয়।
তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট বলেন, আমরা শুধু বাহিনী নয়, গোটা সমাজের শক্তি গড়ে তুলছি যেন গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা রক্ষা করতে পারি।
বেইজিং নিজেদের দাবি করলেও তাইওয়ান সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, দ্বীপটির ভবিষ্যত নির্ধারণ করবে এখানকার জনগণ, বাইরের কেউ নয়।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল