ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগাম পর্যটন কেন্দ্রে জঙ্গি হামলার জের ধরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সৃষ্ট উত্তেজনা অব্যাহত রয়েছে। প্রতি রাতেই সীমান্ত বরাবর গোলাগুলির ঘটনা ঘটছে। এদিকে ভারতীয় হামলার আশঙ্কায় এরই মধ্যে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের সব মাদরাসা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এসব জায়গায় সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার রাতেও কাশ্মীর সীমান্তের নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) বরাবর দুই দেশের সেনাদের মধ্যে গোলাগুলি হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর পাকিস্তান সেনাবাহিনী টানা অষ্টম রাতেও বিনা উসকানিতে গুলি চালিয়েছে। এদিন পাকিস্তানের বিভিন্ন চৌকি থেকে ছোট অস্ত্র দিয়ে গুলি চালানো হয়। এই গুলির লক্ষ্য ছিল কুপওয়ারা, বারামুলা, পুঞ্চ, নওশেরা ও আখনুর- জম্মু ও কাশ্মীরের এ এলাকাগুলোর বিপরীতে থাকা ভারতীয় পোস্টগুলো। ভারতীয় সেনাবাহিনীও পাল্টা জবাব দিয়েছে। এদিকে পাকিস্তানি সংবাদ মাধ্যম জিও নিউজ ডন-এর খবরে বলা হয়েছে, ভারত ও পাকিস্তানের তীব্র উত্তেজনার মধ্যে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ১ হাজারের বেশি ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (মাদরাসা) বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ভারতের সম্ভাব্য সামরিক হামলার আশঙ্কায় এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কাশ্মীরের ধর্মবিষয়ক দপ্তরের প্রধান হাফিজ নজির আহমদ বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘আমরা কাশ্মীরের সব মাদরাসা ১০ দিনের ছুটি ঘোষণা করেছি।’ প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) সংলগ্ন অঞ্চলে প্রায় ১৫ লাখ মানুষ বসবাস করেন। নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছাকাছি সেনাবাহিনী সতর্ক অবস্থান নিয়ে আছে। এ ছাড়া এখানকার অনেক মানুষ মাটির নিচে বাংকার তৈরি করছেন। যাদের সামর্থ্য আছে, তারা সেগুলো সিমেন্ট দিয়েও মজবুত করছেন। এ ছাড়া কাশ্মীরের প্রধান শহর মুজাফফরাবাদে জরুরি সেবাকর্মীরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিশুদের প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করেছেন। ভারতের পক্ষ থেকে হামলা হলে কী করতে হবে, প্রশিক্ষণে সেগুলো শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে।