তিনি শাহরুখ খান। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই যে বলিউডে রাজত্ব করেছেন এমনটা মোটেও নয়। একের পর এক ধাক্কা সহ্য করে টিকে থাকতে হয়েছে তাকে। শুরুতেই অভাবের সঙ্গে লড়াই। তারপরই পরিবারে একের পর এক মৃত্যু। আঘাত সহ্য করতে পারেননি শাহরুখ। ১৯৮১ সালে প্রথম ধাক্কা খান কিং খান, যখন তিনি প্রথম জানতে পেরেছিলেন যে তার বাবার ক্যান্সার। বাবার মৃত্যু সহ্য করতে পারেননি তিনি।
এর মাঝেই আরও বড় আঘাতের মুখোমুখি পড়তে হয় তাকে। হঠাৎই মৃত্যুশয্যায় চলে যান শাহরুখের মা। মা-বাবাকে ভীষণ ভালোবাসতেন তিনি। একাধিক সাক্ষাৎকারে তাকে বলতে শোনা যায়, তিনি প্রতিটা মুহূর্তে অভিভাবকদের কতটা মনে করেন।
তবে মা যখন মৃত্যুশয্যায়, তখন আর নিজেকে সামলাতে পারেননি শাহরুখ। আবেগে ভেসে অসুস্থ মাকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, মা যদি চলে যায় তবে তিনি নিজেকে শেষ করে দেবেন। ভেবেছিলেন এ কথা শুনে তার মা হয়ত দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন।
এক সাক্ষাৎকারে শাহরুখ জাজানান, সেই সময় মায়ের সঙ্গে যে ব্যবহারটা তিনি করেছিলেন তা মোটেও মেনে নেওয়ার মতো নয়। আজ তিনি বুঝতে পারেন তা কতটা বোকা বোকা আচরণ ছিল। তিনি সেই সময় মাকে রীতিমতো হুমকি দিয়েছিলেন, বলে দিয়েছিলেন, তিনি কাজ ছেড়ে দেবেন, পড়াশোনা ছেড়ে দেবেন। বোনের যত্ন নেবেন না। খারাপ হয়ে যাবেন।
আসলে তিনি চেয়েছিলেন তার মাকে ভয় দেখাতে। মাকে আটকে রাখতে। কিন্তু শাহরুখ বাস্তব বুঝতে পারেন পরে। মৃত্যু আটকানো যায় না। তার মায়ের তখন যাওয়ারই ছিল। শাহরুখ পরে মুখে হাসি নিয়ে বলেন, মা যেখানেই আছেন ভালো আছেন। কারণ আমি বোনের যত্নও নিয়েছি, পাশাপাশি কাজও করে চলেছি।
বিডি প্রতিদিন/কেএ