এ বছর নিম্নচাপের প্রভাবে কয়েকদিন বৃষ্টিপাতের পরই উত্তরবঙ্গের আকাশে-বাতাসে পাওয়া যাচ্ছে শীতের আভাস। কার্তিক মাসেই দেশের উত্তরের জেলাগুলোতে ক্রমেই যেন স্পষ্ট হয়ে উঠছে শীতের আগমন বার্তা।
গত কয়েকদিন ধরে ভোরের আলো ফোটার আগেই ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে যাচ্ছে লালমনিরহাটের পাঁচ উপজেলার গ্রামীণ জনপদগুলো। ভোরের হালকা শীত আর ঠান্ডা হাওয়া মনে করিয়ে দিচ্ছে শীত আসতে দেরি নেই।
কুয়াশায় মোড়ানো পথঘাট, মাঠে সোনালি ধানের আভা, আর বিলে শাপলার হাসি— সব মিলিয়ে যেন এক স্বপ্নিল ছবি আঁকছে প্রকৃতি। উঠান জুড়ে ছড়িয়ে থাকা শিউলি আর বেলী ফুলের সুবাস আরও নির্মলতা আরও পবিত্রতা ছড়িয়ে দিচ্ছে গ্রামীণ পরিবেশে।
রাজারহাট আবহাওয়া অফিস জানায়, মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯৩ শতাংশ।
শীতের আগমনের কথা জানিয়ে দুহুলী এলাকার অটোরিকশাচালক রাজেন অধিকারী বলেন, সকালে অটো নিয়ে বের হয়েছি, কিন্তু ঘন কুয়াশায় রাস্তা দেখা যাচ্ছিল না। হেডলাইট জ্বালিয়ে খুব সাবধানে সেই সময় গাড়ি চালাতে হয়েছে।
রুবেল ইসলাম নামের আরেকজন বলেন, কয়েকদিন হলো সন্ধ্যার পর থেকে হালকা কুয়াশা নামছে। আজ সকালে বাইরে বেরিয়ে দেখি, চারপাশ ঘন কুয়াশায় ঢেকে গেছে। ৮টার পরও সূর্যের মুখ দেখা যায় নাই আজ।
শিয়াল খোওয়া এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা প্রভাষক সালাম বলেন, ‘ভোরে ঘুম ভাঙতেই জানালার ওপারে দেখি ধোঁয়াটে কুয়াশা। মনে হচ্ছিল যেন পুরো গ্রাম ঘুমিয়ে আছে কুয়াশার চাদরে।’
রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, ‘গত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টির কারণে ঠান্ডা একটু বেশি অনুভূত হচ্ছে। ভোরে কুয়াশা আর হালকা ঠান্ডা শীত মৌসুম পরিবর্তনের সংকেত। আগামী কয়েকদিনে তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমতে পারে।’
বিডি-প্রতিদিন/তানিয়া