ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে নওগাঁর নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বিশেষ করে ছোট যমুনা ও আত্রাই নদীর পানি আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইতোমধ্যে আত্রাই নদীর দুটি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে, শনিবার সকালে মান্দা উপজেলার কসব ইউনিয়নের তালপাতিলা এলাকায় এই রাস্তা ভেঙে যায়। এতে তালপাতিলা গ্রামসহ আশপাশের চকবালু, চকরামপুরসহ কয়েকটি গ্রামে পানি প্রবেশ করে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে বেশকিছু পরিবার। ভাঙার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আখতার জাহান সাথী। এ সময় তিনি উক্ত দ্রুত সময়ের মধ্যে মেরামতের আশ্বাস দেন।
মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আখতার জাহান সাথী বলেন, দিনে ও রাতে নদী সংলগ্ন ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো পর্যবেক্ষণ করা এবং জরুরি অবস্থায় করণীয় বিষয়ে স্থানীয়দের সচেতন করাসহ নানা বিষয়ে তৎপরতা চলমান রেখেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা। আত্রাই নদীর পানি বিপৎসীমার উপরে প্রবাহিত হওয়ায় মান্দা উপজেলার চকরামপুর, উত্তর চকরামপুর, কয়লাবাড়ী, জোকাহাট, দ্বারিয়াপুর, নুরুল্লাবাদ, পারনুরুল্লাবাদ ও তালপাতিলা এলাকার অন্তত ১০টি বেড়িবাঁধকে অতি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এছাড়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ মূল বাঁধের লক্ষ্মীরামপুর, আয়াপুর, পাঁজরভাঙ্গা, পলাশবাড়ী, মিঠাপুর, নিখিরাপাড়া ও গোয়ালমান্দাসহ অন্তত ২০টি পয়েন্টকে উচ্চ ঝুঁকির তালিকায় রাখা হয়েছে।
নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী প্রবীর কুমার পাল জানান, শনিবার দুপুরে আত্রাই নদীর জোতবাজার পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে এবং আত্রাই নদীর রেলওয়ে ব্রিজ পয়েন্টে পানি সমতল বিপৎসীমার ৩১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ার পর থেকেই আত্রাই, ছোট যমুনা ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো দিনে এবং রাতে পরিদর্শন করা হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডও সবসময় উপজেলা প্রশাসনকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করে আসছে। তবে এখন পর্যন্ত জেলার কোথাও বাঁধ ভেঙে যায়নি।
বিডি প্রতিদিন/এমআই