উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের এক রোমাঞ্চকর রাতে জার্মান জায়ান্ট বায়ার লেভারকুসেনকে বিধ্বস্ত করে দিলো প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি)। বে অ্যারেনায় অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে ফরাসি ক্লাবটি ৭-২ গোলের বিশাল ব্যবধানে জয় তুলে নেয়। গোলের পাশাপাশি দুই দলের খেলোয়াড়রা সরাসরি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিল পিএসজি। সপ্তম মিনিটেই নুনো মেন্ডেসের নিখুঁত ক্রসে হেডে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন উইলিয়ান পাচো।
২৫ মিনিটে ফিরতি গোলের সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিল লেভারকুসেন। পিএসজির ডিফেন্ডার ইল্লা জাবারনির হাতে বল লাগায় পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। কিন্তু মিডফিল্ডার রবের্ত আন্দগিশের নেওয়া শট পোস্টে লেগে বাইরে চলে গেলে গোলের দেখা পায়নি স্বাগতিকরা।
এর কয়েক মিনিট পর একই খেলোয়াড়ের ভুলে বড় ধাক্কা খায় লেভারকুসেন। দিজিরে দুয়েকে বাজেভাবে ফাউল করে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন আন্দগিশ। যদিও সংখ্যাগত সেই ঘাটতি বেশি সময় স্থায়ী হয়নি। মাত্র চার মিনিট পর প্রতিপক্ষকে ডি-বক্সে ফাউল করে জাবারনি লাল কার্ড দেখলে দুই দলই ১০ জনের দলে পরিণত হয়।
লেভারকুসেনের পক্ষে স্প্যানিশ মিডফিল্ডার আলেইশ গার্সিয়া পেনাল্টি থেকে গোল করে সমতায় ফেরান দলকে। তবে এরপর থেকেই শুরু হয় পিএসজির গোল বন্যা।
৪১তম মিনিটে বল পেয়ে আলতো শটে দিজিরে দুয়ে আবারও দলকে এগিয়ে নেন। এরপর ৪৪ মিনিটে খভিচা কাভারেস্খেইয়ার শক্তিশালী শটে স্কোরলাইন দাঁড়ায় ৩-১। বিরতির আগে যোগ করা সময়ে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন দুয়ে। এই গোলের পর নেইমারের ট্রেডমার্ক উদযাপনে যেন জানান দিলেন পিএসজি পেয়ে গেছে তাদের নতুন সুপারস্টার।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ভিতিনিয়ার অ্যাসিস্ট থেকে গোল করেন মেন্ডেস। ৫৪ মিনিটে গার্সিয়া নিজের দ্বিতীয় গোল করে কিছুটা সান্ত্বনা দেন লেভারকুসেন সমর্থকদের।
তবে ম্যাচের শেষ ভাগে এসে আবার গোল উৎসবে মাতেন পিএসজির খেলোয়াড়রা। ইনজুরি কাটিয়ে মাত্র কয়েক মিনিট আগেই বদলি হিসেবে মাঠে নামা ব্যালন ডি’অর জয়ী ওসমান ডেম্বেলে গোল করেন ৬৬ মিনিটে। আর নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার আগে ভিতিনিয়ার দূরপাল্লার শটে ম্যাচের স্কোরলাইন দাঁড়ায় ৭-২।
এই জয়ে গ্রুপ টেবিলের শীর্ষে অবস্থান ধরে রাখলো বর্তমান চ্যাম্পিয়ন পিএসজি। তিন ম্যাচে পূর্ণ ৯ পয়েন্ট নিয়ে তারা এগিয়ে আছে গোল ব্যবধানে। সমান পয়েন্টে ইন্টার মিলান দ্বিতীয় ও আর্সেনাল আছে তৃতীয় স্থানে।
বিডি প্রতিদিন/মুসা