ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত কর্মী মহব্বত আলী হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩ জুন) রাতে নিহতের ছেলে ইনামুল হক কালীগঞ্জ থানায় ৫৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৩০–৪০ জনকে আসামি করে এজাহার দাখিল করেন। পরে বুধবার বিকালে মামলাটি রেকর্ডভুক্ত করা হয়।
মামলায় এক নম্বর আসামি করা হয়েছে কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও কোলা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ডা. নুরুল ইসলামকে।
ঘটনার সূত্রপাত ১ জুন (রবিবার) সকাল সাড়ে ৮টায় জামাল ইউনিয়নের তালিয়ান শ্মশানঘাট এলাকায়। সাইফুল ফিরোজের অনুসারীরা মহব্বত আলীকে কুপিয়ে হত্যা করে, এ সময় তাকে বাঁচাতে গেলে তার ভাই ইউনুছ আলীকেও কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। বর্তমানে তিনি যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মামলার বাদী ইনামুল হক বলেন, “আমরা বিএনপি করি। কিন্তু আজ আমাদের বাবাকে যারা খুন করেছে, তারা নিজেরাই বিএনপি পরিচয় দিয়ে আমাদের উপর হামলা করছে। আমরা এ ধরনের বিএনপি চাই না। তাদের বিচার চাই।”
এ বিষয়ে অভিযুক্ত নেতা সাইফুল ইসলাম ফিরোজ বলেন, “আমার কোনো অনুসারী মহব্বত আলীকে হত্যা করেনি। এটি বিএনপির অভ্যন্তরীণ সামাজিক কোন্দলের ফল। ঘেনা বিএনপির কেউ নয়, সে দলের কেউ নন। স্থানীয় চেয়ারম্যানের সঙ্গে দ্বন্দ্ব থেকেই তারা মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে জড়ানোর চেষ্টা করছে।”
কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম হাওলাদার মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এখন পর্যন্ত ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান চলছে।
পরিস্থিতি শান্ত রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/আশিক