এখন রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের হাট-বাজার ফলে ভরপুর। কারণ, এ বছরও পাহাড়ে বাম্পার ফলন হয়েছে মৌসুমী ফল আম, কাঁঠাল, লিচু ও আনারসের। তাই পথে হাটে মিলছে বাহারি ফল। এসব ফল স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বাজারজাত হচ্ছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে। তাই এ মৌসুমে কোটি টাকার ফল বিক্রি হবে, এমনটা ধারণা ব্যবসায়ীদের।
রাঙামাটি জেলা কৃষি তথ্য সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, সদ্য মৌসুমে উপযুক্ত আবহাওয়ার কারণে রাঙামাটিতে আম, কাঁঠাল, আনারস, লিচুর ব্যাপক ফলন হয়েছে। আর এসব মৌসুমী ফলের আবাদ হয়েছে রাঙামাটি জেলার সদর উপজেলায়- ১৪৭৩ হেক্টর, নানিয়ারচর-২৪০৮ হেক্টর, বিলাইছড়ি-৩৭৯ হেক্টর, কাপ্তাই-২১০০ হেক্টর, কাউখালী-৯০৬ হেক্টর, বরকল-৯২০ হেক্টর, জুরাছড়ি-৫৮৯ হেক্টর, লংগদু-১২২৫ হেক্টর, বাঘাইছড়ি-৯১১ হেক্টর ও রাজস্থলী উপজেলায়-৫৩০ হেক্টর জমিতে।
স্থানীয় ফল ব্যবসায়ী জ্যোতি চাকমা বলেন, প্রতি বছর পাহাড়ে আম, কাঠাল, আনারস ও লিচু সহ বিভিন্ন মৌসুমী ফলের ভালো ফলন হয়। কিন্তু তারপরও কৃষকরা দরিদ্র কারণ। এসব ফল সুষ্টুভাবে বাজারজাত করা যায়না। উপজেলার পাকা ফলমূল বাজারে আনতে আনতে নষ্ট হয়ে যায়। কারণ এ ফলে ফরমালিন নেই। তাই সংরক্ষণ করা যায় না। এছাড়া কাপ্তাই হ্রদে পানি কম। বিভিন্ন নৌপথে লঞ্চ চলে না। ছোট বোট আর নৌকা দিয়ে পাহাড় থেকে ফল সংগ্রহ করতে সময় লাগে। তাই বাগানের ফল বাগানেই নষ্ট হয়। তাই লাভের চেয়ে ক্ষতি অনেক বেশি কৃষকদের।
একই অভিযোগ বাসন্তি চাকমার। তিনি বলেন, ফল বাজারে আনার আগেই গরমে নষ্ট হচ্ছে, এখানে কোনো হিমাগার নেই। ফলগুলো সংরক্ষণ করতে পারি না। তাই কষ্টের ফল চোখের সামনে নষ্ট হচ্ছে।
রাঙামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, পাহাড়ে উপযুক্ত আবহওয়া। তাই এখানে যে কোনো ফলমূলের ভালো চাষাবাদ হয়। ফলনও হয় বাম্পার। কৃষি বিভাগও চেষ্টা করে এখানকার কৃষকরা যাতে সঠিভাবে পরির্চযার মধ্য দিয়ে ফলন ভালো করতে পারেন। এখানে যদি ফলমূল সংরক্ষণের জন্য হিমাগার থাকতো কৃষকরা আরও উপকৃত হতো।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ