স্ট্রবেরি চাষের পর এবার বাড়ির উঠানে আঙুর চাষ করে চমক দেখিয়েছেন গৃহিণী হনুফা আক্তার। কৃষি বিভাগের পরামর্শ নিয়ে তিনি শুরু করেন। চার শতক জমিতে তিনি আঙুর চাষ করেছেন। সফলতার মুখ দেখেছেন। এখন প্রতিবেশীরা এই আঙুর বাগান দেখতে আসেন। কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলার পশ্চিম সিংহ গ্রামের আবদুর রউফের স্ত্রী মোসাম্মদ হনুফা আক্তার এই বাগান গড়ে তোলেন।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়,পশ্চিম সিং বলা গাজী বাড়ি। বাড়ির উঠানে দুইটি বাঁশের মাচা। সেখানে হালকা বাতাসে থোকায় থোকায় আঙুর দুলছে। গৃহিণী হনুফা আক্তার আঙুর কেটে পাত্রে রাখছেন। প্রতিবেশী শিশুরা জমির পাশে ভিড় করলে তাদের হাতেও তুলে দিচ্ছেন। দেখতে ভিড় করেন প্রতেবেশী নারী পুরুষরাও।
হনুফা আক্তার বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে আঙুর চাষে কথা শুনেছি। তাই নিজে চাষ করতে ইচ্ছে হলো। আমার আগ্রহের কথা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মনোয়ারা বেগম আপাকে জানাই। তিনি চাষ পদ্ধতি বিষয়ে পরামর্শ দেন। চারা আনি নীলফামারী থেকে। এই কাজে আমার প্রবাসী স্বামী ও বাড়িতে থাকা শ্বশুর গোলাম মোস্তফা সহযোগিতা করছেন। প্রথমবার চার শতক জমিতে চাষ করেছি। এখানে ফলন হবে না বলে প্রথমে কেউ কেউ হাসাহাসি করেছেন। এখন অনেক প্রতিবেশী এখন আঙুর বাগান দেখতে আসেন। নিজেরাও চাষে আগ্রহ প্রকাশ করছেন। আঙুরের স্বাদও বেশ ভালো। কয়েক কেজি স্বজনদের মাঝে বিতরণ করেছি।
বাগান দেখতে আসা প্রতিবেশী রুমি আক্তার ও শিউলি আক্তার বলেন, হনুফা ভাবী পরিশ্রমী ও সাহসী মানুষ। তিনি আগে বাড়ির পাশে স্ট্রবেরি চাষ করেছেন। এবার বাড়ির উঠানে আঙুর চাষ করেছেন। আগে কখনও আঙুরের বাগান দেখিনি। এখন দেখে ভালো লাগছে। তার চাষ দেখে আমাদের স্বজনরাও আঙুরের বাগান করার আগ্রহ দেখিয়েছেন।
বুড়িচং উপজেলা কৃষি অফিসার আফরিণা আক্তার বলেন, হনুফা আক্তার উদ্যোমী কিষানি। তিনি নতুন ফসল করতে সব সময়ে আগ্রহী। তার আঙুর চাষ দেখে অন্যরাও আগ্রহী হচ্ছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপ-পরিচালক আইউব মাহমুদ বলেন, আঙুর চাষ দেশে দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে। বুড়িচং উপজেলার পশ্চিম সিহের কিষানিও আঙুর চাষ করেছেন। তার উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। পর্যায়েক্রমে গবেষণার মাধ্যমে আঙুরের স্বাদ ও ফলন আরো ভালো হবে বলে আশা করছি।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল