রাখাইন সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান উৎসব বর্ষবরণ (সাংগ্রেং) ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে শেষ হয়েছে গতকাল। জেলা শহরের টেকপাড়া, গোলদীঘির পাড়সহ রাখাইন পল্লীগুলোতে তিন দিনব্যাপী এ উৎসবে পানিতে একে অপরকে ভিজিয়ে দেওয়া ছাড়াও ছিল ধর্মীয় আচার, প্রার্থনা, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে রাখাইনরা শুদ্ধতার প্রতীক হিসেবে জল ছিটিয়ে পুরনো গ্লানি দূর করেন। বিশ্বাস করা হয়, এই জলে আছে পবিত্রতা, আছে পুরোনো গ্লানি ধুয়ে ফেলার শক্তি। জল ছিটানো ছাড়াও উৎসবের প্রথম দিন গত বৃহস্পতিবার বৌদ্ধ মন্দিরে পূজা-অর্চনা করা হয়। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় দিনে ছিল বর্ণিল শোভাযাত্রা ও ঐতিহ্যবাহী নৃত্য-গীতের। রাখাইন বুড্ডিস্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের প্রাক্তন কেন্দ্রীয় সভাপতি ও কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পরিচালক মং চেং হ্লা বলেন, গত বছর কক্সবাজার শহর, টেকনাফ, উখিয়া, মহেশখালী, রামু, চৌফলদণ্ডি ও চকরিয়ায় ৩৬টি মণ্ডপে (প্যান্ডেল) সাংগ্রেং উৎসব হয়েছিল। এবার ৪০টি মণ্ডপে জল উৎসব হয়েছে। স্থানীয়দের পাশাপাশি পর্যটকরাও অংশ নিয়েছেন উৎসবে।
রাখাইনদের বর্ষবরণ শুধু একটি ধর্মীয় বা জাতিগত উৎসব নয়, এটি সম্প্রীতির মিলনমেলাও বটে।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার সন্ধ্যায় শহরের আছিমংপাড়া জলকেলি প্যান্ডেলে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গাবিষয়ক হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমান। প্রধান অতিথি বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ। এ সময়টি উৎসবের সময়। আশা করি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে সবাই মিলে সুন্দর ও সম্ভাবনার একটি দেশ গড়ে তুুলতে পারব।’