স্ত্রীকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি বগুড়ার নন্দীগ্রামে যাচ্ছিলেন সৈকত আহমেদ (২৩)। হাটিকুমরুল এলাকায় পৌঁছলে এইচ কে বাসের সুপারইজার জানান, গাড়ি আর বগুড়া যাবে না। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে বাসের সুপারভাইজার ও হেলপার সৈকতকে চলন্ত গাড়ি থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন। ছিটকে পড়ে ওই গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে মারা যান সৈকত আহমেদ। গতকাল এ ঘটনা ঘটে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের হাটিকুমরুলের রাধানগর এলাকায়। হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুর রউফ এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, চাকায় পিষ্ট হয়ে মাথা থেঁতলে যায় এবং ঘটনাস্থলেই সৈকত মারা যান। খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বাসটি জব্দ করা হয়েছে। তবে সুপারভাইজার ও হেলপার পালিয়ে গেছে। যেহেতু এটি হত্যাকা , তাই লাশ সলঙ্গা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের হবে। সৈকত বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলার হাজার বেগুনীপাড়া গ্রামের মো. সোলেমানের ছেলে।