সুন্দরবনের বঙ্গোপসাগর পাড়ে দুবলারচরের শুঁটকি মৌসুম শেষ হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে বঙ্গোপসাগর উত্তাল থাকায় এবং বনদস্যুরা মুক্তিপণ দাবিতে জেলেদের অপহরণ শুরু করায় আতঙ্কে জেলেরা সাগরে মাছ ধরতে পারেননি। পাঁচ মাসেও শুঁটকির জন্য কাক্সিক্ষত মাছ আহরণ করা যায়নি। হাজার হাজার জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ী লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে বাড়ি ফিরছেন। তারা ব্যাপক ক্ষতির শিকার হয়েছে। এসব কারণে এ মৌসুমে সরকারের রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হচ্ছে না, জানিয়েছে সুন্দরবন বিভাগ। সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রতি বছর ১ নভেম্বরের থেকে সুন্দরবনের দুবলার কয়েকটি চরে শুরু হয় শুঁটকি মৌসুম। শেষ হয় ৩১ মার্চ। জেলেদের আবেদনে এ বছর শুঁটকি মৌসুম আরও আট দিন বাড়িয়ে ৮ এপ্রিল করা হয়। এ সময় দুবলার আলোরকোল, মাঝেরকেল্লা, শেলারচর ও নারিকেলবাড়িয়া চরে অস্থায়ী পল্লিতে অবস্থান নিয়ে জেলেরা বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরে শুঁটকি করে থাকেন। সুন্দরবনের দুবলারচরের শুঁটকি মৌসুমে এ বছর ১০ হাজার জেলে ও মৎস্যজীবী জড়ো হয়েছিলেন। জেলেরা জানান, শুঁটকি মৌসুমের প্রথম সাতটি গোনে প্রাকৃতিক দুর্যোগে বঙ্গোপসাগর ছিল উত্তাল। শেষের তিন গোনে সাগরে প্রবল ছিল পশ্চিমা বায়ু। মৌসুমের মাঝামাঝি বনদস্যুরা মুক্তিপণের দাবিতে জেলেদের অপহরণ শুরু করে। এসব কারণে জেলেরা সাগরে মাছ ধরতে পারেননি। হয়নি শুঁটকির জন্য কাক্সিক্ষত মাছ আহরণ। লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারেননি ৯৯ ভাগ জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ী। দুবলার আলোরকোলের রামপাল জেলে সমিতির সভাপতি মোতাসিম ফরাজি, পিরোজপুরের ফরিদ মিয়া, রামপালের তাহের আলী, শরণখোলার আ. খালেক, ও তুষখালীর আ. রহিম জানান, এ বছর হাতেগোনা দু-একজন জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ী মোটামুটি ভালো মাছ পেয়েছেন। বেশির ভাগ জেলে লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগে বঙ্গোপসাগর উত্তাল থাকায় এবং বনদস্যুদের আতঙ্কে জেলেরা সাগরে মাছ ধরতে পারেননি। সুন্দরবনের দুবলা ফিশারমেন গ্রুপের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. কামাল উদ্দিন আহমেদ জানান, এ বছর দুবলার শুঁটকি পল্লির ৯৯ ভাগ জেলে মহাজন দেনা মাথায় নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। সুন্দরবনের শুঁটকি দুবলা ফরেস্ট টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরেস্ট রেঞ্জার মো. খলিলুর রহমান জানান, পাঁচ মাসের দুবলারচরের শুঁটকি মৌসুম এবার জেলেদের আবেদনে আট দিন বাড়িয়ে ৮ এপ্রিল শেষ হয়েছে। অধিকাংশ জেলে সুন্দরবন ছেড়ে ইতোমধ্যে লোকালয়ে রওয়ানা হয়েছেন। অনেক জেলে আগেই বাড়ি ফিরে গেছেন। এ বছর শুঁটকি থেকে বন বিভাগের রাজস্ব আয় লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হচ্ছে না। এ বছর নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত রাজস্ব আয় হয়েছে ৬ কোটি ২০ লাখ ৯৫২ টাকা। গত বছর একই সময়ে রাজস্ব আয় হয়েছিল ৭ কোটি ২৩ লাখ ৭৯ হাজার ৯৯০ টাকা।
শিরোনাম
- ইরানের কাছে পরমাণু বোমা থাকতে পারবে না : ট্রাম্প
- মেঘনা গ্রুপের কাছে আটকে আছে তিতাসের ৮৬২ কোটি টাকা
- একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ এপ্রিল)
- সুন্দরবনের দুই বনদস্যু আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলিসহ আটক
- ব্যক্তির সঙ্গে সমষ্টির অসম বিভাজন
- ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে যুবক নিহত
- কক্সবাজার মেরিনড্রাইভে ২৮ মোটরসাইকেল জব্দ
- মহাখালীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কিশোরের মৃত্যু
- বাঘাইছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অক্সিজেনের অভাবে শিশু মৃত্যুর অভিযোগ
- রিকশাসহ নালায় পড়ে তলিয়ে গেল শিশু
- বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জনবল বাড়াবে সরকার
- পুকুরে ডুবে দুই রোহিঙ্গা শিশুর মৃত্যু
- রৌমারীতে বড়াইবাড়ি দিবসকে জাতীয় স্বীকৃতির দাবি
- ঝটিকা মিছিল করে আবার ভয়াবহ ফ্যাসিবাদ কায়েমের চেষ্টা চলছে : এ্যানি
- বরিশালে আউটসোর্সিং কর্মচারী ঐক্য পরিষদের বিক্ষোভ মিছিল
- যশোরের অগ্নিকাণ্ডে ৫০ হাজার মুরগিসহ মেশিনারীজ ভস্মীভূত
- সংস্কারের পরে নির্বাচনের দাবিতে নারায়ণগঞ্জে ‘মার্চ ফর ড. ইউনূস’ কর্মসূচি
- পরিবেশবান্ধব পদ্ধতিতে তৈরি বস্ত্রের প্রসারে কাজ করতে হবে : রিজওয়ানা হাসান
- ফয়জুল করীমকে মেয়র ঘোষনার দাবিতে বরিশালে মানববন্ধন
- চীনের অর্থায়নে মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালটি পঞ্চগড়ে স্থাপনের দাবি