দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ মহাসড়কের চিরিরবন্দরে বাসর রাতেই নববধূকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করে বিচার এবং ওসির অপসারণের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভসহ মানববন্ধন করেছেন বিক্ষুদ্ধ ছাত্র-জনতা। এ সময় মহাসড়কে শত শত যানবাহন আটকে পড়ে। ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। গতকাল সকালে দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ মহাসড়কের আমবাড়ি হাটে দেড় ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচির আয়োজন করে বিক্ষুদ্ধ ছাত্র-জনতা ও এলাকাবাসী। মানববন্ধনে বক্তৃতা করেন আজিজার রহমান, তানিয়ার ভাই সুজন মিঞা, প্রতিবেশী শাহীন ইসলাম প্রমুখ। তানিয়ার স্বামী চিরিরবন্দর উপজেলার পুনট্টি ইউনিয়নের হযরতপুর মালাইপুর গ্রামের আজাহার আলীর ছেলে আবদুর রহিম (২৩)।
নিহতের স্বজনরা জানান, ৬ মার্চ বাসর রাতে তানিয়াকে যৌন উত্তেজনাকর ওষুধ সেবন করায় স্বামী আবদুর রহিম এবং স্বামীর ভগ্নিপতি মঞ্জুরুল ইসলাম ও শামসুল ইসলাম। পরে তিনজন মিলে তানিয়াকে ধর্ষণ করে। বিষয়টি তানিয়া পরিবারকে জানানোর হুমকি দিলে তাকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তানিয়ার বাবা আবু তালেব তিনজনের নাম উল্লেখ করে এজাহার দায়ের করেন। পরে পুলিশ তানিয়ার স্বামী আবদুর রহিমকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে নিহতের স্বজনদের অভিযোগে, হত্যার ঘটনায় তিনজনের নামে অভিযোগ দিলেও ওসি আবদুল ওয়াদুদ কৌশলে দুজনের নাম বাদ দিয়েছেন। এ ঘটনায় গ্রামবাসী ওসির অপসারণের দাবিতে রাস্তা অবরোধ করেন। দিনাজপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাকিমপুর সার্কেল) নিয়ামত উল্লাহ ওসি আবদুল ওয়াদুদকে অপসারণের আশ্বাস দিলে বিক্ষোভকারীরা অবরোধ তুলে নেন। এ ছাড়া তিনি অন্য দুই আসামিকেও গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে জানান।