বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, গত ১৫ বছর বিভিন্ন পাতানো মামলায় বিএনপির অনেক সিনিয়র নেতা ও আলেম-ওলামাকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে আদালতে তোলা হয়েছিল। আর এখন ভয়াবহ অপরাধী আওয়ামী নেতাদের জামাই আদরে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হচ্ছে। পুলিশ প্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে হাসিনার অলিগার্করা ‘শর্ষের ভিতর ভূত’ হয়ে থাকায় এমনটা হচ্ছে। গতকাল দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালামসহ দলীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
রিজভী আহমেদ অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী নেতারা ভয়াবহ অপশাসনের জন্য ক্ষমা চাওয়া দূরে থাক, আদালতে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। আদালতে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করছে, আদালতকে ভেংচি কাটছে, পুলিশকে থোড়াই কেয়ার করছে। হাজারো শহীদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আরও বড় ফ্যাসিস্ট হয়ে ফিরে আসার হুমকি দিচ্ছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ প্রশাসনের নীরবতায় তারা এমন আচরণ করছে, যা অন্তর্বর্তী সরকারকে ‘অকার্যকর’ প্রমাণের এক গভীর চক্রান্ত।
রিজভী আরও বলেন, প্রশাসনের কতিপয় ব্যক্তির সহযোগিতায় আওয়ামী লীগ রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিল করার দুঃসাহস দেখাচ্ছে। তারা হামলা করছে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের ঘর-বাড়িতে। একই দুষ্কৃতকারীরা ভাস্কর মানবেন্দ্র ঘোষের মানিকগঞ্জের বাড়ি আগুন দিয়ে ভস্মীভূত করে দিয়েছে।