গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে বিএনপি নেতা ইলিয়াস মিয়া হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি সুমন মিয়াকে (২৮) রাজধানী ঢাকার দক্ষিণখান এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১ ও সুন্দরগঞ্জ থানা পুলিশের একটি যৌথ দল।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) সেলিম রেজা। গ্রেপ্তার সুমন মিয়া সুন্দরগঞ্জ উপজেলার রামভদ্র খানাবাড়ী গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে। তিনি স্থানীয়ভাবে যুবলীগকর্মী হিসেবে পরিচিত।
উল্লেখ্য, গত ৬ জুন দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে ইলিয়াস মিয়া তার বাড়ির কাছের একটি মৎস্য খামার থেকে ফেরার পথে একই এলাকার গানডার বিলের খানাবাড়ি এলাকায় দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হন। লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধরের ফলে তিনি গুরুতর আহত হন। তার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে ইলিয়াসকে প্রথমে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং সেখান থেকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭ জুন বিকেল ৪টার দিকে তিনি মারা যান।
ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইলিয়াসকে হাসপাতালে নেওয়ার সময়ের ১ মিনিট ১৯ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে তাকে বলতে শোনা যায়- সুন্দরগঞ্জের মজিবরের ছেলে যুবলীগের সুমন, ডাকুয়ার ছেলে যুবাইর ও তালেবের ছেলেসহ চারজন তাকে লোহার রড দিয়ে বেধড়ক পিটিয়েছে। তিনি বলেন, তাকে অন্তত ২০০ বার আঘাত করা হয়েছে। পরবর্তীতে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা সুমনের বাড়ি ঘেরাও করে রাখে। ৮ জুন নিহতের স্ত্রী লিপি বেগম বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২০-২৫ জনকে আসামি করে সুন্দরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার পর ১০ জুন বিকেলে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের রামভদ্র খানাবাড়ি গ্রামে অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র, ছুড়ি ও লোহার রডসহ এজাহারভুক্ত ৬ নম্বর আসামি নীল মিয়ার স্ত্রী স্বপ্না বেগমকে (গ্রেফতারকৃত সুমনের বড় ভাইয়ের স্ত্রী) গ্রেফতার করে পুলিশ।
সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) সেলিম রেজা জানান, আসামি সুমন আত্মগোপনে ছিলেন এবং র্যাব ও পুলিশের যৌথ অভিযানে তাকে ঢাকার দক্ষিণখান এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এ মামলায় এখন পর্যন্ত এক নারীসহ মোট তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ