সিলেটে একদিনে সড়কে ঝরেছে ৩ প্রাণ। তাদের মধ্যে দু’জন বাবা ও মেয়ে। আর আহত হয়েছেন ১০ জন। শনিবার পৃথক দুইটি সড়ক দুর্ঘটনায় এই প্রাণহানি।
জানা গেছে, প্রথম দুর্ঘটনাটি ঘটে সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার দয়ামীরে। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে হবিগঞ্জগামী একটি বাস ও সিলেটগামী একটি প্রাইভেটকারের মধ্যে মুখোমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনায় প্রাইভেটকারটির চালক হারুন মিয়া ও তার ১০ বছরের মেয়ে আনিছা বেগম ঘটনাস্থলেই নিহত হন। তাদের বাড়ি ওসমানীনগরের খাদিমপুর গ্রামে।
দুর্ঘটনায় একই পরিবারের আরও ৪ জন সদস্য আহত হয়েছেন। তারা হলেন- মুকিত মিয়া (৩৫), আজিজুল ইসলামের স্ত্রী রহিমা খাতুন (৩০), বেলাল আহমদের স্ত্রী পান্না বেগম (২৩) ও সফিক মিযার মেয়ে মুন্নি আক্তার (২৩)।
আহতদের চিকিৎসা চলছে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
অপর দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সিলেট-ভোলাগঞ্জ মহাসড়কের ভোলাগঞ্জ পয়েন্টে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পাথরবাহী একটি ট্রাক্টর দুপুর ১২টার দিকে ভোলাগঞ্জ পয়েন্টে সাদাপাথর বেড়াতে যাওয়া পর্যটকবাহী সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই একজন নিহত ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক, নারী ও শিশুসহ অপর ৫ জন আহত হয়েছেন।
নিহত জিয়াউল হক (৬৫) জামালপুর জেলার বাসিন্দা। তার বাবার নাম মোবারক হোসেন, চেয়ারম্যান। আহতরা হলেন- সম্রাট (৩৭), তার স্ত্রী সুমাইয়া (২৮), মেয়ে সাওদা (১০), ছেলে সিনান (৮) ও অটোরিকশার চালক (তার নাম জানা যায়নি)। তারা সবাই সিলেটের সাদা পাথরের সৌন্দর্য উপভোগ ঘুরতে এসেছিলেন।
পুলিশ তাদের উদ্ধার করে প্রথমে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে সেখান থেকে তাদের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। জিয়াউলেল লাশ মর্গে রাখা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত