বগুড়ার সোনাতলার সুজাইতপুর দক্ষিণপাড়া থেকে একটি গন্ধগোকুল উদ্ধার করেছে জাতীয় পদক প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের পরিবেশবাদী সংগঠন টিম ফর এনার্জি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চ (তীর) এর সদস্যরা। আজ মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টায় এটি উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, উপজেলার সুজাইতপুর দক্ষিণপড়ায় গন্ধগোকুলটি আটক করে রাখা হয়েছে। এমন খবর পেয়ে তীর কেন্দ্রীয় কমিটির পরামর্শে তীরের সদস্য রাব্বি হাসান মোহন সেখানে যোগাযোগ করেন। পরে বেলা ১২টার দিকে তীরের সদস্যরা গিয়ে গন্ধগোকুলটি উদ্ধার করে সামাজিক বন বিভাগ বগুড়ায় হস্তান্তর করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন তীরের সভাপতি হোসেন রহমান, সাধারণ সম্পাদক অমিত সাহা ও সোনাতলা উপজেলা বন কর্মকর্তা জুলফিকার আলী।
তীরের সভাপতি মো. হোসেন রহমান জানান, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে প্রজাতিটি সংরক্ষিত এবং জাতিসংঘের পরিবেশ ও বন্যপ্রাণীবিষয়ক সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন নেচারের (আইইউসিএন) মতে বিপন্ন প্রজাতির অন্তর্ভুক্ত। পাশাপাশি বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের তফসিল-১ অনুযায়ী প্রজাতিটি সংরক্ষিত ঘোষণা করা হয়েছে। নিশাচর এ প্রাণীটি একসময় প্রচুর পাওয়া গেলেও বর্তমানে প্রাণীটি তেমন চোখে পড়ে না।
উল্লেখ্য, গন্ধগোকুল নিশাচর খাটাশের বিভিন্ন প্রজাতির মধ্যে এরাই মানুষের বেশি কাছাকাছি থাকে। দিনের বেলা বড় কোনো গাছের ভূমি সমান্তরাল ডালে লম্বা হয়ে শুয়ে থাকে। আর লেজটি ঝুলে থাকে নিচের দিকে। মূলত ফলখেকো হলেও কীটপতঙ্গ, শামুক, ডিম-বাচ্চা-পাখি, ছোট প্রাণী, তাল-খেজুরের রসও খায়। অন্য খাদ্যের অভাবে মুরগি-কবুতর ও ফল চুরি করে। এরা ইঁদুর ও ফল-ফসলের ক্ষতিকর পোকামাকড় খেয়ে কৃষকের উপকার করে।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ