সিরি, এলেক্সা ও জেমিনাইয়ের মতো এআই সহযোগীগুলোর ব্যবহার বাড়ার কারণে অনেকেই এখন গ্যাজেটের সঙ্গে কথা বলায় অভ্যস্ত। তবে কথা বলার মাধ্যমে যে টাইপ করা সম্ভব তা হয়তো অনেকের অজানা। অ্যানড্রোয়েড ও আইওএস ডিভাইসে কীভাবে ‘ভয়েস টাইপ’ করা যায়- এ বিষয়ে ওয়ার্ডের এক প্রতিবেদন বলছে, ব্যবহারকারীরা চাইলেই ইচ্ছেমতো টাইপ বা ভয়েস টাইপ করতে পারবেন।
► অ্যানড্রোয়েড : পিক্সেল ও অন্যান্য অ্যানড্রোয়েড ফোনে জি-বোর্ড থাকে। টাইপ করতে গেলে যখন বোর্ডটি পপআপ করবে, তখন ভয়েস টাইপিংয়ের জন্য বোর্ডের ডান পাশে মাইক্রোফোন আইকনে চাপ দিয়ে কথা বলতে পারবেন। ভয়েস টাইপিংয়ে কোনো শব্দ মুছতে ‘ডিলিট’ শব্দ ব্যবহার করতে পারেন, পুরো লেখা মুছতে ‘ক্লিয়ার অল’ বলতে পারেন। লেখার ফরম্যাট বা লেখাটি ঠিকঠাক দেখাতে পরবর্তী ধাপে কী করতে হবে সে সম্পর্কে নির্দেশনা দেওয়া হয়। ফোনে যদি ভয়েস টাইপিং কাজ না করে তাহলে সেটি চালু আছে কি না দেখতে হবে। না থাকলে ফোনের সেটিং>সিস্টেম>কিবোর্ড>অন-স্ক্রিন কিবোর্ড>জি-বোর্ড>ভয়েস টাইপিংয়ে গিয়ে চালু করতে পারবেন।
► আইওএস : আইফোনেও ভয়েস টাইপিংয়ের সুযোগ রয়েছে। যদিও অ্যাপলের তৈরি নিজস্ব কিবোর্ডই ডিফল্ট হিসেবে থাকে। বিভিন্ন ধরনের কমান্ডের মাধ্যমে ইমোজি বা বিরাম চিহ্ন টাইপ করা যাবে। ‘নিউ লাইন’ বা ‘নিউ প্যারাগ্রাফ’-এর মতো কমান্ড দিয়ে মেসেজগুলো ভাগ ভাগ করা সম্ভব। তবে আইফোন অ্যানড্রোয়েডের মতো ‘সেন্ড’ বা ‘সার্চ’ কমান্ড করে মেসেজ সাবমিটের সুযোগ দেয় না। এ ক্ষেত্রে ‘মাইক্রোফোন’ বাটনে চাপ দিয়ে বা ‘স্টপ ডিকটেশন’ বলে ‘ভয়েস ডিকটেশন’ বন্ধ করতে হয়। এরপর লেখা সেন্ড করার জন্য বাটনে চাপতে হয়। আইওএসে এটি ডিফল্টভাবেই সেট থাকার কথা, যদি না থাকে তাহলে আইওএস সেটিংয়ে গিয়ে জেনারেল> কিবোর্ড খুলুন এবং ‘ইনএবল ডিকটেশন’ টগল অপশনটি অন আছে কি না নিশ্চিত হন।