শেষবারের অ্যাশেজ সফরটা ভুলে যেতে চাইবেন স্কট বোল্যান্ড। ২০২৩ সালের ইংল্যান্ড সফরে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি অস্ট্রেলিয়ার এই পেসার। তবে এবারের লড়াই ঘরের মাঠে। চেনা কন্ডিশনে ইংল্যান্ডের বাজবল ঘরানার ক্রিকেটের বিপক্ষে পুরোপুরি তৈরি ৩৬ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।
গত অ্যাশেজে মাত্র দুটি টেস্টে সুযোগ পেয়েছিলেন বোল্যান্ড। এজবাস্টন ও হেডিংলিতে ইংলিশ ব্যাটারদের আগ্রাসনের সামনে অসহায় ছিলেন তিনি। ১১৫.৫০ গড়ে মাত্র দুই উইকেট পেয়েছিলেন তিনি। তার জন্য যা অত্যন্ত হতাশাজনক পারফরম্যান্স!
গতবারের সেই পারফরম্যান্স টেনে এনে বোল্যান্ড বলেন, ২০২৩ সালে ওই পারফরম্যান্সের পর থেকে আমি এটা নিয়ে অনেক ভেবেছি। তবে আমার এখনও মনে হয়, ইংল্যান্ডে এমন কিছু সময় ছিল যখন আমি ভালো বোলিং করেছি, কিন্তু উইকেট পাইনি। এখন আমি আগের চেয়ে অনেক ভালো বোলার। নিজেদের কন্ডিশনে খেলব, যেটা সম্পর্কে আমি খুব ভালো করেই জানি।
অস্ট্রেলিয়ার একাদশে নিয়মিত সুযোগ পান না বোল্যান্ড। প্যাট কামিন্স, জশ হ্যাজেলউড ও মিচেল স্টার্কের যে কারও অনুপস্থিতিতেই কেবল তাকে দেখা যায়। তবে সেই অল্প সুযোগেও নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েছেন ডানহাতি এই পেসার।
ঘরের মাঠের ভালো অভিজ্ঞতাও আছে তার। ২০২১-২২ মৌসুমের অ্যাশেজ দিয়েই টেস্ট অভিষেক হয় বোল্যান্ডের। সিরিজে মাত্র ৯.৫৫ গড়ে শিকার করেন ১৮ উইকেট। সেই আত্মবিশ্বাসেই এবারও ইংলিশদের বিপক্ষে সেরাটা দিতে মরিয়া তিনি।
বোলান্ড বলেন, তারা আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলবে। তবে গত কয়েক বছরের মতো যদি উইকেট থাকে, আমার মনে হয় ম্যাচের লাগাম সবসময় আমাদের হাতেই থাকবে। গতবার ইংল্যান্ড সফরে বলে খুব কমই মুভমেন্ট পাওয়া গেছে এবং বোলাররা কমই সহায়তা পেয়েছে। সেখানে সাধারণত উইকেটগুলো ব্যাটিং সহায়ক থাকে। অস্ট্রেলিয়ার কথা বললে, গত তিন কিংবা চার বছর ধরে এখানে উইকেট বোলারদের সহায়তা করেছে।
বিডি প্রতিদিন/কেএ