ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-২০ সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে বাংলাদেশ। এরপর থেকে টাইগার ক্রিকেটারদের পাশাপাশি কোচদেরও সমালোচনা করা হচ্ছে। বিশেষ করে ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব পাওয়া মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন ক্রিকেট বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, সালাউদ্দিন ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব পালনের পর থেকে ব্যাটারদের পারফরম্যান্স নিম্নগামী। আয়ারল্যান্ড সিরিজে ব্যাটিং স্পেশালাইজড কোচ হিসেবে বিসিবি দায়িত্ব তুলে দিয়েছে সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুলের হাতে। টেস্ট ক্রিকেটের সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ান ক্যারিয়ার শেষ করার আগে কোচেস লেবেল করেছেন। বিপিএলে রংপুর রাইডার্সের সহকারী কোচ হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি যখন দায়িত্ব পান তখন তিনি কোচ হয়ে বরিশালের হয়ে কক্সবাজারে চট্টগ্রামের বিপক্ষে অবস্থান করছিলেন। বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব পেয়ে উচ্ছ্বসিত আশরাফুল, ‘বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচ হতে পেরে ভালো লাগছে। এটা অনেক সম্মানের বিষয়। আমি চেষ্টা করব নিজের সেরাটা দিয়ে কাজ করতে।’ দলের ব্যাটাররা ধারাবাহিক নন। এ অবস্থা থেকে উন্নতি করাই আশরাফুলের কাজ। নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যাটিং কোচ আশরাফুল এখনই ক্রিকেটারদের টেকনিক নিয়ে কাজ করতে রাজি নন। আগে তাদের মানসিকতা নিয়ে কাজ করবেন। তিনি বলেন, ‘জাতীয় দলের ব্যাটিং সম্পর্কেই মোটামুটি পরিষ্কার ধারণা আছে। আমি জানি তারা কে, কেন ব্যর্থ হচ্ছে। আর কে কখন কী কারণে ভালো খেলছেন, সেটাও আমার জানা। আমি প্রথমেই স্কিল বা টেকনিকে না গিয়ে তাদের মানসিকভাবে চাঙা করার চেষ্টা করব।’
বিসিবির পরিচালনা পর্ষদ সভা করে আবদুর রাজ্জাক রাজকে টিম ডিরেক্টর হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে। বেতন বাড়িয়েছে ১৫ নারী ক্রিকেটারের। সর্বোচ্চ বেতন ‘এ’ ক্যাটাগরি ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা, ‘বি’ ক্যাটাগরি ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা, ‘সি’ ক্যাটাগরি ৯৫ হাজার টাকা ও ‘ডি’ ক্যাটাগরি ৮০ হাজার টাকা।
রাজ্জাক কিছু দিন আগেও ছিলেন জাতীয় দলের নির্বাচক কমিটির সদস্য। বিসিবি নির্বাচনের আগে গত সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে তিনি নির্বাচকের দায়িত্ব ছাড়েন। পরে বোর্ড পরিচালক হিসেবে নির্বাচিত হন এবং নারী বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব পান। এবার তাকে দেওয়া হলো বাড়তি দায়িত্ব।