চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল ঢাকা ছেড়েছে। ২০ ফেব্রুয়ারি দুবাইতে গ্রুপের প্রথম ম্যাচে লড়বে ফেবারিট ভারতের বিপক্ষে। তার আগে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবেন নাজমুল হোসেন শান্তরা। পাকিস্তানে এত বড় টুর্নামেন্টে কেন একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবেন, তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। ভারত-ইংল্যান্ড, পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও শ্রীলঙ্কা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে ওয়ানডে সিরিজে অংশ নিচ্ছে। টুর্নামেন্ট হবে ৫০ ওভারের। তাই ওয়ানডে সিরিজ খেলে দেশগুলো নিজেদের ভুলত্রুটি ভালোভাবে শুধরিয়ে নিচ্ছে। অবশ্য আইসিসির শিডিউল অনুযায়ী দেশগুলো খেলছে। তার পরও বিসিবি প্রস্তুতি ম্যাচের সংখ্যা কেন বাড়াতে পারল না, প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
ভারত ছাড়া বাংলাদেশের গ্রুপে রয়েছে পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড। শক্তিশালী গ্রুপ বলেই বাংলাদেশের পরবর্তী রাউন্ডে যাওয়া কঠিন। তবে ঢাকা ছাড়ার আগে বুধবার সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বলেছেন, বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নের লক্ষ্যে খেলবে। যেখানে গ্রুপে সব ম্যাচেই হারার শঙ্কা রয়েছে সেখানে টার্গেট চ্যাম্পিয়নের কথা বলেন কীভাবে? নাজমুল অনেক ভেবে কথাগুলো বলেছেন। যদি চ্যাম্পিয়ন হন তা হবে বাংলাদেশের বড় প্রাপ্তি। এশিয়া কাপে তিনবার রানার্সআপ ছাড়া জাতীয় ক্রিকেট দলের কোনো আসরে শিরোপা জেতার রেকর্ড নেই। সিরিজ জেতাটাই প্রাপ্তি। সে ক্ষেত্রে ভারত, পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও আফগানিস্তানকে টপকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে চ্যাম্পিয়ন হতে পারলে এর চেয়ে বড় অর্জন আর কী হতে পারে? সাবেক দুই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও শ্রীলঙ্কা আসরে যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি। অধিনায়ক নাজমুলের লক্ষ্য শিরোপা হলেও দলের হেড কোচ ফিল সিমন্স প্রস্তুতি নিয়ে ততটা সন্তুষ্ট নন। বলেছেন, ক্রিকেটাররা সবাই যোগ্য। তবে এত বড় টুর্নামেন্টে যে প্রস্তুতিটা দরকার তা হয়নি।
এখানে ক্রিকেটারদের ম্যাজিকাল কিছু করতে হবে। দলে লিটন দাসের জায়গা হয়নি। অধিনায়ক নাজমুলের ফর্মও ততটা ভালো নয়। সে ক্ষেত্রে সবাইকে দায়িত্ব নিয়ে খেলতে হবে। প্রথম ম্যাচে যদি ভারতকে হারাতে পারে তাহলে টুর্নামেন্টে ক্রিকেটাররা সত্যিকারের টাইগার রূপ ধারণ করতে পারে।
‘এ’ গ্রুপে বাংলাদেশ ম্যাচ
২০ ফেব্রুয়ারি : বাংলাদেশ - ভারত
২৪ ফেব্রুয়ারি : বাংলাদেশ - নিউজিল্যান্ড
২৭ ফেব্রুয়ারি : বাংলাদেশ - পাকিস্তান