বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) নিজেদের প্রথম ম্যাচে ব্যাটারদের দাপটে জয় পেয়েছিল ফরচুন বরিশাল। এরপর রংপুর রাইডার্সের কাছে হেরে যায় তারা। তবে পরের ম্যাচেই ফের দারুণ জয় পায়। দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে ব্যাটে-বলে অলরাউন্ড পারফর্ম করে ফরচুন বরিশাল। গতকাল সন্ধ্যায় তারা মুখোমুখি হয় সিলেট স্ট্রাইকার্সের। দলটার হাজার হাজার সমর্থকের সামনে প্রথমে ফিল্ডিংয়ে নেমে বোলিংয়ে দাপট দেখান রিশাদ-জাহানদাদরা। ফরচুন বরিশালের বোলিং তোপের সামনে টিকতে না পেরে ১২৫ রানেই গুটিয়ে যায় সিলেট স্ট্রাইকার্সের ইনিংস। পরে কেইল মায়ার্স ও তাওহিদ হৃদয়ের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে সহজেই জয় পায় বরিশাল। যদিও ওপেনিংয়ে তামিম ইকবাল ও নাজমুল হোসেন শান্ত ভালো করেননি। তবে কেইল মায়ার্সের ৩১ বলে ৫৯ ও তাওহিদ হৃদয়ের ২৭ বলে ৪৮ রানের ইনিংসে ১০.৩ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বরিশাল। ৭ উইকেটের জয় পায় তারা।
ইনিংসের শুরুটা দারুণ করেছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স। শুরুর দিকে রনি তালুকদার (০) ও রাহকিম কর্নওয়ালের (১৮) উইকেট হারালেও মাত্র ৭ ওভারে ৭০ রান তুলে বড় সংগ্রহের ইঙ্গিত দিয়েছিল দলটা। তবে নবম ওভারে জাহানদাদ বোলিংয়ে এসে জর্জ মুনসে (২৮) এবং অ্যারোন জোনসের (০) উইকেট শিকার করে সিলেট স্ট্রাইকার্সের রানের গতি থামিয়ে দেন। জাকের আলিকেও ১ রানে সাজঘরে ফেরান জাহানদাদ। রিশাদ হোসেন শিকার করেন জাকির হাসান, তানজিম হাসান এবং রুবেলের উইকেট। ইনিংসের শেষদিকে সিলেটের অধিনায়ক আরিফুল হক চার-ছক্কায় রান বাড়ানোর চেষ্টা করেন। তিনিও ২৯ বলে ৩৬ রানে ফাহিম আশরাফকে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন। সিলেটের ইনিংসে আরিফুলই সর্বোচ্চ রান সংগ্রহ করেছেন। জর্জ মুনসে ২৮ ও জাকির হাসান ২৫ রানে আউট হন।