বছরের শুরুতেই এক রোমাঞ্চকর টেস্ট ম্যাচ দেখছে ক্রিকেটবিশ্ব। বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির শেষ ও সিডনি টেস্টের দ্বিতীয় দিনে পড়ল ১৫ উইকেট। দিন শেষে ম্যাচের ভাগ্য কোন দিকে গড়াবে সেটা যেন বোঝার কোনো উপায় নেই। আগে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ১৮৫ রানে গুটিয়ে যায় ভারত। জবাবে ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মাঝে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসে একমাত্র হাফ সেঞ্চুরি করেন অভিষিক্ত বেউ ওয়েবস্টার। ১০৫ বলে ৫৭ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। এ ছাড়া সেম কন্টেস ২৩, স্টিভ স্মিথ ৩৩ ও অ্যালেক্সের ২১ রানে ভর করে ১৮১ রানে অলআউট হয় অসিরা। ৪ রানের লিড ভারতের। সিরাজ ও কৃষ্ণা ৩টি এবং নীতিশ ও বুমরাহ ২টি করে উইকেট নেন। বল হাতে পুরো সিরিজজুড়ে আগুন ঝরিয়েছেন বুমরাহ। সিরিজে এখন পর্যন্ত ৩২টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে এক টেস্ট সিরিজে এত উইকেট আর কোনো ভারতীয় বোলারের নেই। ভেঙে দিলেন ৪৬ বছরের রেকর্ড। এর আগে অস্ট্রেলিয়ায় ১৯৭৭/৭৮ সিরিজে ৩১ উইকেট পেয়েছিলেন ভারতীয় স্পিন কিংবদন্তি বিষেন সিং বেদি। সিডনিতে নিয়মিত অধিনায়ক রোহিত শর্মার স্থলে নেতৃত্ব দিচ্ছেন পার্থ টেস্ট জয়ী অধিনায়ক জশপ্রীত বুমরাহ। গতকাল অসিদের ইনিংসের ৩১তম ওভারেই চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। পরে স্ক্যান করাতে হাসপাতালে নেওয়া হয় ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক ও সিরিজে ভারতের মূল বোলিং ভরসা বুমরাহকে। তখন অস্ট্রেলিয়ার হাতে ছিল ৫ উইকেট। কিন্তু পরের ২০ ওভারে বাকি উইকেট তুলে নেন বুমরাহর সতীর্থ বোলাররা। যদিও এরপর স্কট বোল্যান্ডের দারুণ বোলিংয়ে ভারতকে চাপে রেখে দিন পার করে অস্ট্রেলিয়াও। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করলেও বরাবরের মতো ব্যর্থ হয় ভারতীয় ব্যাটিং লাইনআপ। ঋষভ পন্থের হাফ সেঞ্চুরিতে দ্বিতীয় ইনিংসে দ্বিতীয় দিন শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪১ রান করেছে বুমরাহর দল। ভারত এগিয়ে আছে ১৪৫ রানে। পন্থ প্রথম বলে ছক্কা মেরে ইনিংস শুরু করেন। টি-২০ ম্যাচের মতো খেলে ২৯ বলে পূর্ণ করেন হাফ সেঞ্চুরি, যা ভারতীয় ব্যাটারদের মধ্যে দ্বিতীয় দ্রুততম। নিজের ২৮ বলে হাফ সেঞ্চুরির রেকর্ডই ভাঙলেন তিনি। বিদায়ের আগে ৩৩ বলে ৬১ রানের ইনিংস খেলেন এই ভারতীয় ব্যাটার। এ ছাড়া জয়সোয়াল ২২, রাহুল ১৩, গিল ১৩ রান করেন। দিন শেষে ক্রিজে আছেন রবীন্দ্র জাদেজা ও ওয়াশিংটন সুন্দর। বল হাতে ৪২ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ভারতের মূল সর্বনাশ করেন বোল্যান্ড। কামিন্স ও ওয়েবস্টার নেন একটি করে উইকেট।