এক পকেটমার বলছে আরেক পকেটমারকে, “তুই যে একটু আগে ‘হ্যালো...’ বলে এক লোককে খুব আন্তরিকভাবে জড়িয়ে ধরলি, সে কে? নাম কী তার?”
: কী যেন! আমি কি নাম জানি নাকি? দেখি, তার মানিব্যাগে নিশ্চয় পরিচয়পত্র আছে।
► ছেলের দুই দিন পর পরীক্ষা। অথচ পড়াশোনার নাম গন্ধ নেই। সারা দিন টইটই করে ঘুরে বেড়ায়। মা, ব্যাপারটা দেখে-
মা : মিজান, তোর না দুই দিন পরে পরীক্ষা! পড়াশোনা করছিস? না যে!
মিজান : মা পরীক্ষার এত চাপ- পড়ার সময়ই পাচ্ছি না!
► বিমানে ভ্রমণের সময় সাউন্ড বক্সে হঠাৎই শোনা গেল পাইলটের কণ্ঠস্বর। ‘সম্মানিত যাত্রীসাধারণ। শুভ সকাল। আপনাদের ভ্রমণে বিঘ্ন ঘটানোর জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। আপনাদের অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, আমাদের বিমানে কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে। ওপরের দিকে তাকালেই আপনারা দেখবেন, বিমানের দেয়ালে ফাটল ধরেছে। ডান দিকের জানালায় তাকালেই দেখবেন, বিমানের ডানায় আগুন ধরেছে। বাম দিকের জানালায় তাকালেই দেখবেন, বিমান একটা পাহাড়ের সঙ্গে ধাক্কা খেল বলে। আরও জানাচ্ছি যে এটা একটি রেকর্ড করা ম্যাসেজ। নিচের দিকে তাকালেই আপনারা প্যারাসুটে অবস্থানরত আমাকে দেখতে পাবেন!’
► ইন্টারভিউ বোর্ডে প্রার্থীকে বলছেন কর্মকর্তা, ‘আমাদের এখানে কিন্তু আপনাকে বিভিন্ন ধরনের কাজকর্ম করতে হবে।’
প্রার্থী : সে ক্ষেত্রে আমিই বোধহয় আপনার জন্য সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য প্রার্থী।
কর্মকর্তা : কীভাবে?
প্রার্থী : আমি গত চার মাসে ১০ বার চাকরিস্থল বদল করেছি।
► মানসিক হাসপাতালের এক রোগী একমনে কী যেন লিখছেন। চুপি চুপি পেছনে এসে দাঁড়ালেন ডাক্তার। বললেন, কী হে, চিঠি লিখছেন নাকি?
রোগী : হু।
ডাক্তার : কাকে লিখছেন?
রোগী : নিজেকে।
ডাক্তার : বাহ্! ভালো তো। তা কী লিখলেন?
রোগী : আপনি কি পাগল নাকি? সবে তো চিঠিটা লিখছি। চিঠি পাঠাব, দুই দিন বাদে চিঠিটা পাব, খুলে পড়ব। তারপর তো বলতে পারব কী লিখেছি!
► রোগী : ডাক্তার, দুশ্চিন্তায় আমার চুল পেকে যাচ্ছে।
ডাক্তার : কী নিয়ে আপনার দুশ্চিন্তা?
রোগী : এই যে আমার চুল পেকে যাচ্ছে, তা নিয়েই আমার দুশ্চিন্তা।
-সংগ্রহ : ফরিদুল ইসলাম নয়ন, মেহেরপুর, খুলনা।