প্রস্তাবিত বাজেট শিল্প ও বিনিয়োগের জন্য ইতিবাচক নয়, এতে দেখা গেছে জ্বালানি খাতে বরাদ্দ কমানো হয়েছে। ফলে বিদ্যমান কারখানাগুলো টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়বে। এ ছাড়া শিল্পের কর অব্যাহতি সুবিধা কমানোয় নতুন বিনিয়োগের পথ সংকুচিত হবে বলে মনে করেন বিজিএমইএ নির্বাচনে বিজয়ী ফোরামের প্যানেল লিডার মাহমুদ হাসান খান বাবু।
তবে এলএনজি আমদানিতে আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট কমানো হয়েছে। গ্যাস-বিদ্যুত্সংকটের এই সময় সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য। মঙ্গলবার বাজেটের ওপর প্রতিক্রিয়ায় তিনি গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন।
বিনিয়োগ এবং কর্মসংস্থানের বিষয়ে তিনি বলেন, কর অব্যাহতির সুযোগ কমানোয় নতুন বিনিয়োগের পথ রুদ্ধ হবে। কারণ এই কর অব্যাহতিটা যখন উঠিয়ে ফেলা হবে তখন নতুন বিনিয়োগে পুঁজির ঘাটতি পড়বে।
সে ক্ষেত্রে এর বিকল্প হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘লো কস্ট ফাইন্যান্স’-এর যে প্রজেক্টগুলো আছে, সেগুলো বাড়াতে হবে। যেন বিনিয়োগকারীরা সেখান থেকে নতুন বিনিয়োগের পুঁজি সংগ্রহ করতে পারেন।
মাহমুদ হাসান খান বাবু আরো বলেন, টেক্সটাইল মিলে সুতা উৎপাদনে ভ্যাট বাড়ানোর প্রস্তাবের প্রভাব সরাসরি স্পিনিং মিলগুলোর ওপর পড়বে। যারা পোশাক রপ্তানির সঙ্গে জড়িত, ব্যাক টু ব্যাক এলসি খুলতে পারে, যাদের বন্ডেড ওয়্যারহাউস লাইসেন্স আছে, তাদের ওপর এটার কোনো প্রভাব পড়বে না।
তবে বিজিএমইএর প্রায় ৭০০ সদস্য আছেন, যাদের বন্ড লাইসেন্স নেই। এরা বাংলাদেশ ব্যাংকের গাইডলাইনের কারণে ব্যাক টু ব্যাক এলসি খুলতে পারেন না। তখন তাঁদের স্থানীয় পর্যায়ে সুতা কিনতে হয় নগদ টাকায়। সে ক্ষেত্রে সুতার ভ্যাট কেজিপ্রতি দুই টাকা বাড়ানোর প্রভাব তাদের ওপর পড়বে। আমরা আশা করি এটা পূর্বের জায়গায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, বাজেটে একটা ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, রপ্তানি পর্যায়ে যে প্রণোদনা দেওয়া হয় সেটা উঠিয়ে ফেলা হবে। এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন না হওয়া পর্যন্ত এটা চলমান থাকা উচিত এবং ডব্লিউটিওর একটা গাইডলাইন অনুযায়ী এলডিসি গ্র্যাজুয়েটেড হয়ে যাওয়ার তিন বছর পর পর্যন্ত এই রপ্তানি প্রণোদনা বহাল রাখা যাবে। কারণ ডব্লিউটিওর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উন্নত দেশগুলো এই রপ্তানি প্রণোদনা থাকলেও কোনো ধরনের মামলা-মোকদ্দমায় যেতে পারবে না। সুতরাং এই প্রণোদনাটা বহাল রাখা উচিত।
বিডি প্রতিদিন/আশিক