শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণসহ আসন্ন ঈদুল আজহার আগেই শতভাগ উৎসবভাতা, পূর্ণাঙ্গ বাড়িভাড়া ও চিকিৎসাভাতা প্রদানসহ ১১ দফা দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মহাসমাবেশ করেছেন শিক্ষকরা। শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বিটিএ) সভাপতি অধ্যক্ষ শেখ কাওছার আহমেদের সভাপতিত্বে সদস্যসচিব মো. শামীম আল মামুন জুয়েল অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।
অনুষ্ঠানে শিক্ষক নেতারা বলেন, শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। আর শিক্ষক হচ্ছেন শিক্ষার মেরুদণ্ড। দেশের সিংহভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীর মাধ্যমে। পরিতাপের বিষয় এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা মাত্র ১ হাজার টাকা বাড়িভাড়া, ২৫ শতাংশ উৎসবভাতা এবং ৫০০ টাকা চিকিৎসাভাতা পান। অথচ একই কারিকুলামের অধীন একই সিলেবাস, একই একাডেমিক সময়সূচি, একইভাবে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও উত্তরপত্র মূল্যায়নের কাজে নিয়োজিত থেকেও আর্থিক সুবিধার ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে রয়েছে পাহাড়সম বৈষম্য।
শিক্ষক-কর্মচারী নেতারা আরও বলেন, শিক্ষাব্যবস্থায় সরকারি ও বেসরকারি বৈষম্য দূরীকরণের জন্য শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ এখন সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে।
শিক্ষাক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি বৈষম্য দূরীকরণের লক্ষ্যে সরকারের কাছে ১১ দফা দাবি জানান। এর মধ্যে রয়েছে-শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণসহ শিক্ষা খাতে জিডিপির ৬ শতাংশ বরাদ্দ করা; ঈদের আগেই সরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের ন্যায় পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা, বাড়িভাড়া ও চিকিৎসাভাতা প্রদান; সরকারি স্কুলের ন্যায় বেসরকারি স্কুলের ‘প্রধান শিক্ষক’র বেতন স্কেল ষষ্ঠ গ্রেডে এবং সহকারী প্রধান শিক্ষকদের সপ্তম গ্রেডসহ টাইম স্কেল প্রদান করা; এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের সর্বজনীন বদলি প্রথা চালু করা ইত্যাদি রয়েছে।
মহাসমাবেশে অধ্যক্ষ শেখ কাওছার আহমেদ বলেন, আগামী ১৭ মের পূর্বে দাবি পূরণে সুনির্দিষ্ট প্রজ্ঞাপন জারি করা না হলে সারা দেশের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা ওই দিন থেকেই জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচিসহ কঠোরতর কর্মসূচি পালন করবেন।