শিরোনাম
প্রকাশ: ০৯:১১, মঙ্গলবার, ০৮ এপ্রিল, ২০২৫

সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবে মিডিয়া ধ্বংসের চক্রান্ত!

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ভার্সন
সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবে মিডিয়া ধ্বংসের চক্রান্ত!

গণমাধ্যম রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। একে বস্তুনিষ্ঠ, স্বচ্ছ, জবাবদিহি ও বিশ্বমানের করে গড়ে তোলার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের চাওয়া অত্যন্ত যৌক্তিক ও সময়োপযোগী। স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের গণমাধ্যম নানা প্রতিকূলতার সঙ্গে সংগ্রাম করে টিকে আছে। এখানের গণমাধ্যম আর্থিক সংকট, গুণগত মান ও পেশাদারির দিক থেকে এখনো বিশ্বমানে উন্নীত হতে পারেনি, এটা অবশ্যই মানতে হবে।

এ লক্ষ্যে সরকারের চাওয়ার সঙ্গে কারো কোনো দ্বিমত নেই। বরং সরকারের সৎ চাওয়ার প্রতিফলন হিসেবে প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নেওয়ার পরই ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ ব্যাপারে সোচ্চার হয়েছেন দেখে গণমাধ্যম কর্মীরা খুবই আশাবাদী এবং আনন্দিত।

এই লক্ষ্যে সরকার বাংলাদেশের গণমাধ্যমকে পরিণত, আধুনিক ও উন্নত মানসম্পন্ন স্তরে নিয়ে যেতে একটি সংস্কার কমিশন গঠন করেছে। ওই সংস্কার কমিশন সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টার কাছে গণমাধ্যম সংস্কারে যেসব সুপারিশ ও প্রস্তাবসহ প্রতিবেদন জমা দিয়েছে, তা সবার দৃষ্টিগোচর হয়েছে।

এর কিছু কিছু প্রস্তাব অবশ্যই প্রশংসাযোগ্য। তবে বেশ কিছু প্রস্তাব গণমাধ্যমের সঙ্গে জড়িত অনেককে বিস্মিত, শঙ্কিত ও ভীত করেছে। অনেক ক্ষেত্রে মনে হয়েছে, কমিশনের কিছু প্রস্তাব বাস্তবতাবিবর্জিত, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অন্যায্য ও অপ্রাসঙ্গিক।

সময়ের সঙ্গে পারিপার্শ্বিকতার সার্বিক চিত্র বিবেচনা না করে এমনভাবে সুপারিশ করা হয়েছে যে মনে হতে পারে বাংলাদেশ একটা কাল্পনিক রাজ্য! তথ্য-প্রযুক্তি, ভার্চুয়াল জগৎ, এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগে তারা এসব উপেক্ষা করে সেই ট্রিপিক্যাল ধ্যান-ধারণাই তুলে ধরেছে।

তাদের কিছু প্রস্তাব এমন যে এতে পুরো মিডিয়ায় ভাঙন ধরবে অবধারিতভাবে। হাজারো সংবাদকর্মী চাকরি হারাবেন। এক ঝটকায় বন্ধ হয়ে যাবে বেশির ভাগ গণমাধ্যম।

উদ্যোক্তারাও হতাশ ও মর্মাহত। অর্থনৈতিক এ বিপর্যস্ত সময়ে লোকসানি গণমাধ্যম টেনে নিয়ে যাওয়া ‘ক্লান্ত’ উদ্যোক্তারা সব বন্ধ করে দিয়ে পালানোর পথ খুঁজবেন হয়তো! কমিশনের প্রতিবেদন দেখে এমনো মনে হওয়া অস্বাভাবিক নয় যে এটি তৈরির পেছনে একটি স্বার্থান্বেষী চক্র কলকাঠি নাড়ছে। বিশেষ করে প্রথম আলো, ডেইলি স্টার চক্রের হাত থাকা অস্বাভাবিক নয়।

কারণ যিনি কমিশনের প্রধান হয়েছেন, তিনি প্রথম আলোর বেতনভোগী সাবেক কর্মী। ওই প্রতিষ্ঠানের ‘নুন খাওয়া’ ব্যক্তি কোনোভাবেই মুক্ত ও নিরপেক্ষভাবে প্রস্তাব দেওয়ার কথা নয়। তিনি ওই প্রতিষ্ঠানের দ্বারা প্রভাবিত হয়েই অনেকগুলো প্রস্তাব দিয়েছেন বলে মনে হওয়া স্বাভাবিক। কমিশনপ্রধান জীবনের দীর্ঘ সময় ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসিতে কাজ করেছেন। সেখানকার উন্নত জীবন ও মোটা বেতন-ভাতায় অভ্যস্ত। বাংলাদেশের তৃণমূল, এখানের আর্থ-সামাজিক অবস্থা থেকে সম্পূর্ণ জনবিচ্ছিন্ন হয়ে তাঁর পক্ষে একটি স্বল্পোন্নত ও গরিব দেশের গণমাধ্যমের ‘আঁতুড়ঘর’ সম্পর্কে পরিপূর্ণ ধারণা পাওয়া অসম্ভব। অনেকটা ‘বেড়াতে এসে’ ছবক দেওয়ার মতো অবস্থা!

বিলাতি জীবনে অভ্যস্ত সেই তিনি বাংলাদেশে কী কঠিন ও প্রতিকূল পরিস্থিতিতে একজন মানুষ সংবাদকর্মী হয়ে ওঠেন তার কতটুকু তিনি জানেন? স্থানীয় পর্যায়ে একটি পত্রিকা কিভাবে তৈরি হয়, সেখানকার উদ্যোক্তা-কর্মীরা কতটা কঠিন সংগ্রাম করে একটি পত্রিকা টিকিয়ে রাখেন, তিনি তার সামান্যই হয়তো জানেন! ফলে তাঁর হাত দিয়ে যে সুপারিশমালা উঠে এসেছে, তার সঙ্গে বাস্তবতার মেলবন্ধন ঘটানো কঠিন।

কমিশন ‘ওয়ান মিডিয়া, ওয়ান হাউস’ ধারণা বাস্তবায়নের কথা বলেছে। এ ধরনের চিন্তা সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাচারমূলক, অন্যায্য ও আপত্তিজনক বলে অনেকেই অভিহিত করেছেন। একটি স্বাধীন দেশে একক মালিকানায় কতটি গণমাধ্যম থাকতে পারবে কী পারবে না, তা ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের মতো। কারণ গণমাধ্যম একটি উদ্যোগ। এর পেছনে বিপুল অঙ্কের অর্থ লগ্নি করতে হয়। বিপরীতে এর আয় সীমিত। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অলাভজনক ও লোকসান গুনতে হয়। একজন উদ্যোক্তা বলতে গেলে তাঁর অর্থ ‘জলে ঢালা’র মতো মানসিক প্রস্তুতি নিয়েই একটি গণমাধমে বিনিয়োগ করেন। এটি করে তাঁর সৃজনশীলতা, কর্মীদের মধ্যে উদ্যম ও উদ্দীপনা জাগিয়ে, প্রতিযোগিতামূলক সুযোগ-সুবিধা দিয়ে যখন ওই উদ্যোগটিকে এগিয়ে নিয়ে যান, সেটি টিকে থাকে পাঠকের গ্রহণযোগ্যতায়। এই প্রতিযোগিতামূলক সময়ে পাঠক না গ্রহণ করলে গণমাধ্যম টিকবে না।

আর লোকসানি প্রতিষ্ঠান তিনি লোকসান দিয়ে চালাবেন কি না এটা তাঁরই বিষয়। কারণ তিনি তো কারো কাছ থেকে সহায়তা পাচ্ছেন না। একসময় যখন লোকসান আর টেনে নিতে পারবেন না, তখন তা বন্ধ করতেই হবে। এটাই বৈজ্ঞানিকভাবে স্বত্বসিদ্ধ ও যৌক্তিক।

আর কোনো গণমাধ্যম আইনের ব্যত্যয় ঘটাচ্ছে কি না—সেটা দেখার জন্য তো গণমাধ্যম আইন ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা রয়েছেই। এটা নতুন কিছু নয়। তাদের তদারকি নিশ্চিত করলেই তো আইনের ব্যত্যয় ঘটানোর দায়ে ওই গণমাধ্যমকে শায়েস্তা করা যায়। বিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সেটা না করে, ‘ওয়ান মিডিয়া, ওয়ান হাউস’ ধরনের স্লোগানে ‘টার্গেট’ করে এক গ্রুপের একাধিক মিডিয়া বন্ধের যে দুরভিসন্ধি—এটা কমিশনের কার্যক্রমে সুস্পষ্ট হয়েছে।

কমিশন এমনভাবে বলছে, যেন বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকানাধীন ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের প্রথম সারির কয়েকটি মিডিয়াকে ‘ঘায়েল’ করাই মূল লক্ষ্য! দেশের অন্যতম শীর্ষ ও বৃহৎ পাঠকভিত্তির এই গ্রুপের অনেক গণমাধ্যম সফলতার সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসা অর্জন করেছে। এই মিডিয়া গ্রুপের সব কটি প্রতিষ্ঠানে সময়মতো কর্মীদের বেতন-ভাতা দেওয়া হয়। এখানে বিপুলসংখ্যক কর্মীর কর্মসংস্থান হয়েছে। কমিশনপ্রধানের ‘নুন খাওয়া’ প্রতিষ্ঠানের পছন্দ নয় বলে ওই গ্রুপের মিডিয়া বন্ধের এই হটকারী প্রস্তাব দেওয়া মানে দেশের মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রিকে ধ্বংসের পাঁয়তারা ছাড়া আর কিছুই নয়।

কমিশনের প্রস্তাবে এক গ্রুপের একাধিক মিডিয়া বন্ধের এই যে চক্রান্ত, তা গণমাধ্যমে শৃঙ্খলা ফেরানো বা বস্তুনিষ্ঠ গণমাধ্যম তৈরির লক্ষ্য নয়; বরং হাতে ধরে মিডিয়া বন্ধের নীলনকশা। হাজার হাজার সংবাদকর্মীকে বেকার করে তাঁদের পথে বসানোর ষড়যন্ত্র। প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের সঙ্গে কমিশনপ্রধানের সংযোগ বিবেচনায় নিলেই এই দুরভিসন্ধি স্পষ্ট হয়ে ওঠে। কমিশন কি পর্যালোচনা করেনি যে, বিশ্বে হাজারো উদাহরণ রয়েছে যেখানে একক গ্রুপের হাতে একাধিক মিডিয়া রয়েছে? জোর করে মিডিয়া বন্ধের ‘প্রেসক্রিপশন’ ব্যক্তিস্বার্থ ছাড়া আর কিছুই নয়।

যদি একটি গ্রুপের একটি রেখে আর সব মিডিয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়, ওই মিডিয়াটি কে কিনবে? এত বিপুল অঙ্কের অর্থ কে লগ্নি করবে? সরকার কী কিনবে? এ জন্য সরকার বাজেট দেবে? কত দেবে? তার কোনো প্রক্ষেপণ কি করেছে কমিশন? জনগণের ট্যাক্সের টাকা কতটা গ্রুপকে দেবে, কতটি মিডিয়া বন্ধ করতে হবে তারা কি হিসাব করেছে? এ জন্য সরকারকে কত টাকা বরাদ্দ রাখতে হবে, তাদের ধারণা আছে?

সরকারি টাকায় পরিচালিত বাসসসহ তিনটি প্রতিষ্ঠানকে তিনি একটি হিসেবে ‘মার্জ’ করতে বলেছেন। সরকারের বিপুল অঙ্কের টাকা নিয়েও ওই সব প্রতিষ্ঠান মানসম্পন্ন হতে পারেনি। সরকারের পুরো নিয়ন্ত্রণে থাকার পরও ওই সব মিডিয়া লোকসানি। ওইগুলোও মানের দিক থেকে বেসরকারি খাতের মিডিয়া থেকে পেছনের সারিতে। তাদের কিভাবে বিশ্বমানের করা যায়, সেই নীতি-কৌশল, কর্মপরিকল্পনা না করে সময়ের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর উপায় না বের করে, মার্জ বা বন্ধ করে দেওয়ার সহজ পরামর্শ দেওয়া মানে প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করা, আর হাজারো কর্মীকে পথে বসিয়ে দেওয়া ছাড়া আর কিছুই নয়।

কমিশন গণমাধ্যমকে অন্য ব্যবসার সঙ্গে তুলনা করে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির কথা বলেছে। অন্য ব্যবসার মূল লক্ষ্যই থাকে লাভ বা মুনাফা। আর গণমাধ্যমের মূল লক্ষ্য সেবা। চাওয়ার মধ্যেই বিস্তর তফাত। একটি লাভজনক ব্যবসা হিসেবে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তি যৌক্তিক। কিন্তু সেবাধর্মী এবং বলতে গেলে জেনেশুনে অলাভজনক প্রতিষ্ঠান গণমাধ্যমকে পুঁজিবাজারে আনার প্রস্তাবও অবাস্তব।

কারণ বাংলাদেশের পুঁজিবাজার সবচেয়ে নাজুক অবস্থায় রয়েছে। দেশের লাভজনক হাজারো প্রতিষ্ঠান এখনো সেখানে তালিকাভুক্ত হয়নি। সরকারি প্রতিষ্ঠানও বহু বলার পরও সেখানে যায়নি। এ বাজারে ফড়িয়া, দালাল সিন্ডিকেটের যে দৌরাত্ম্য, তা পুঁজিবাজারকে ভঙ্গুর অবস্থায় নিয়ে ঠেকিয়েছে। এমন একটি বাজারে মিডিয়ার মতো স্পর্শকাতর একটি উদ্যোগকে নিয়ে গিয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের নিঃস্ব করার আরেকটি চক্রান্ত। এতে মিডিয়াটিও নির্মূল হয়ে যাবে, বিনিয়োগকারীরাও পথে বসবেন।

আরেক প্রস্তাবে সাংবাদিকদের শিক্ষাগত যোগ্যতার যে কথা বলা হয়েছে, সেটি ঠিক আছে। কিন্তু সাংবাদিকদের সারা দেশে একই বেতন স্কেল হবে। যোগদানের প্রথমেই বিসিএসের নবম গ্রেডের কর্মকর্তাদের মতো হবে বেতন স্কেল। এটিও অবৈজ্ঞানিক সুপারিশ। সারা দেশের সংবাদকর্মীরা কিভাবে প্রধান কার্যালয়ের সংবাদকর্মীর সমমানের হবেন? প্রধান কার্যালয়ে প্রতিযোগিতামূলকভাবে একেকজন নিয়োগ পান। তাঁদের শিক্ষা, অভিজ্ঞতা ও যোগ্যতা প্রতিযোগিতামূলক। একেক বিষয়ে একেকজন সাংবাদিকের অভিনবত্ব, সংবাদের ‘সোর্সের’ সঙ্গে গভীর সম্পর্ক, পেশাদারি—এসবই একজন সাংবাদিকের মূল শক্তি। তাঁর চাহিদাও বেশি। এটা সর্বত্র এক নয়, সম্ভবও নয়। এ ধরনের সাংবাদিকের সুযোগ-সুবিধা প্রতিযোগিতামূলক।

আর ঢাকার বাইরে যাঁরা কাজ করেন, তাঁরা নিজেদের আবাসস্থলের পাশে অন্য কোনো পেশায় থেকে এ পেশায় কন্ট্রিবিউট করেন। এটাই বাস্তবতা। চাইলেই রাতারাতি তাঁদের প্রধান কার্যালয়ের সমমানের ও মর্যাদায় উন্নীত করা অবাস্তব। পেশাদারি ও দক্ষতার বিবেচনায় কেন্দ্রের সঙ্গে প্রান্তের কর্মীদের সমান কাতারে আনা দীর্ঘ সময় ও প্রক্রিয়ার বিষয়।

এটা কমিশন বললেই আর একটি পরিপত্র জারি করলেই বাস্তবায়ন হয়ে যাওয়ার কোনো পরিস্থিতি নেই। এতেই বোঝা যায়, কমিশনপ্রধান বিদেশে থেকে দেশের বাস্তবতা না বুঝেই কাল্পনিক এমন হটকারী প্রস্তাব দিয়েছেন। এমন প্রস্তাব দেশের একটি হাউসও বাস্তবায়ন করতে পারবে কি না সন্দেহ রয়েছে।

গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে সাংবাদিকদের মধ্যেও এরই মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বেশির ভাগই বলেছেন, কমিশনের প্রতিবেদনে কিছু উদ্ভট প্রস্তাব রয়েছে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে যা বাস্তবায়নযোগ্য নয়। কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন কে সাংবাদিক হতে পারবেন আর কে পারবেন না তা নিয়ে বিতর্কের কিছু নেই। সম্পাদক হওয়ার ক্ষেত্রে এই নিয়ম আগেই ছিল। প্রশ্ন হলো, জেলা-উপজেলা পর্যায়ে এই সিদ্ধান্ত কি কার্যকর করা যাবে? সাংবাদিক তৈরি হয় পেশার প্রতি তাদের মনপ্রাণ উজাড় করা অপ্রতিরোধ্য অসাধারণ জীবনীশক্তিতে ভর করে। একটি সার্টিফিকেট কি এক ‘অরাজক’ এবং ‘বিশৃঙ্খল’ অবস্থা থেকে সংবাদমাধ্যমকে মুক্ত করতে পারবে?

দেশের অর্থনীতি ও ব্যবসা-বাণিজ্য একটি ক্রান্তিকাল পার করছে। লাভজনক ব্যবসাই এখন লোকসান গুনছে। টিকে থাকাই কঠিন হয়ে পড়েছে। একের পর এক কারখানা বন্ধ হচ্ছে। লাখ লাখ লোক চাকরি হারাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে লোকসান জেনেও গণমাধ্যম সাংবাদিকদের বেতন দিয়েও দেশের সেবা করে যাচ্ছে। পুরনোটা চালাতেই হিমশিম অবস্থা। কেউ নতুন বিনিয়োগেও আসছে না।

সম্পূর্ণ ব্যক্তি মালিকানাধীন গণমাধ্যমের বাস্তবতাকে অস্বীকার করে কোনো কিছু চাপিয়ে দেওয়ার অর্থ হবে—ছোট ছোট সংবাদমাধ্যমকে গলা টিপে হত্যা করা। কিভাবে পেশাদার সাংবাদিক তৈরি করা যায়, কিভাবে একটি মানসম্পন্ন মিডিয়া তৈরি করা যায়, কোন পদ্ধতি অবলম্বন করলে বিদ্যমান একটি মিডিয়া হাউস আরো দক্ষ ও পেশাদার হবে, বস্তুনিষ্ঠ ও সৎ সাংবাদিকতা করতে পারবে—তার জন্য সরকার কী করতে পারে, নিয়ন্ত্রকরা কী করতে পারেন—প্রস্তাব হতে হবে এসব।

কেউ কেউ বলছেন, সংবাদমাধ্যমে বেতন কাঠামো কেন সরকার নির্ধারণ করবে? শুধু সরকারি বিজ্ঞাপনের সুযোগ নিয়েই কি এই সিদ্ধান্ত চাপানো হচ্ছে? সব গণমাধ্যম কী বৈষম্যহীনভাবে সরকারি বিজ্ঞাপন পায়? সেখানে কী স্বেচ্ছাচার, অনিয়ম নেই? আর কেবল সরকারি বিজ্ঞাপন দিয়েই কি একটা সংবাদপত্র টিকে থাকতে পারে? এগুলো নিয়ে বিস্তারিত পর্যালোচনা কমিশন করেছে বলে মনে হয়নি। এমনকি ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ দেশের শীর্ষ মিডিয়া হাউস হওয়ার পরও তাদের কারো সঙ্গে আলাপ পর্যন্ত করেনি। এত বড় একটি মিডিয়া হাউস কিভাবে চলে—এটা জানতে না চাইলে কিভাবে এর ভেতরের সংগ্রামের কথা জানবেন? আর এভাবে একটি খণ্ডিত পর্যবেক্ষণ নিয়ে পুরো মিডিয়া জগতের সংস্কার হয়? এটা কি যৌক্তিক?

বিভিন্ন মহল থেকে জোর দাবি উঠেছে, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে, কমিশন সবার সঙ্গে আরো বৃহৎ পরিসরে কথা বলে, সার্বিক বিষয়টি পর্যালোচনা করে যা বাস্তবসম্মত, তা নিয়ে বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশ করবে। মূলত একটি পেশাদার মিডিয়া হাউস তৈরি করা, বিজ্ঞাপনের বণ্টন বৈষম্যহীন করা, বিজ্ঞাপনের হার বাড়ানো, পেশাদার সাংবাদিক তৈরি করতে, পেশার মান বাড়াতে, তাঁদের লেখনীর স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে সরকার ভর্তুকি বা বিশেষ বরাদ্দ দিতে পারে।

এখানে প্রতিযোগিতামূলক কৌশলও নিতে পারে। বরং এটিই হবে সাংবাদিকতাকে সত্যিকার অর্থে এগিয়ে নেওয়ার প্রকৃত উপায়। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিশ্বসেরা একজন সম্মাননীয় ব্যক্তি। তিনি দেশে গণতন্ত্র ও সুশাসন ফেরানোর দায়িত্ব পেয়েছেন। আশা করা যায়, কমিশনের ভেতরে যে দুর্বলতাগুলো রয়েছে, সেগুলো তিনি নিজস্ব পর্যবেক্ষণে বিচার করে দেশের মিডিয়াকে বাঁচানোর পদক্ষেপ নেবেন। একমাত্র মিডিয়াই শত কষ্টের মধ্যেও এখনো সমানভাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। এই মিডিয়াই জুলাই অভ্যুত্থানে অতন্দ্র প্রহরীর মতো ছাত্রদের সঙ্গে জীবন বাজি রেখে রাজপথে থেকে দায়িত্ব পালন করেছে। কেউ কেউ আন্দোলনে জীবন দিয়েছেন। জীবন-মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েও দায়িত্ব পালন করে গেছেন। নিজেদের দাবি-দাওয়া নিয়ে অন্য সবার মতো সরকারের শীর্ষ নেতৃত্বের কারো পথ আগলে ধরেননি। আত্মসম্মানবোধ বজায় রেখে তাঁরা সরকারের ভালো কাজে পাশে থেকে এখনো কাজ করে যাচ্ছেন। কিন্তু আকস্মিক কমিশন হটকারী ও মিডিয়া ধ্বংসের যেসব প্রস্তাব দিয়েছে, তাতে তাঁরা ক্ষুব্ধ, হতাশ ও বিস্মিত। এসব প্রস্তাব বাস্তবায়ন মানে হাজারো সংবাদকর্মীর চাকরি হারানো। কর্মীরা এরই মধ্যে ভীত-সন্ত্রস্ত। এমনটি হলে হাজারো সংবাদকর্মীর রাস্তায় নামা ছাড়া গতি থাকবে না। এটি তাঁদের অন্তর্বর্তী সরকারের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত কি না এটাও ভেবে দেখা দরকার।

এই বিভাগের আরও খবর
ঢাকা পলিটেকনিকের অধ্যক্ষকে বদলি, দায়িত্বে শাহেলা পারভীন
ঢাকা পলিটেকনিকের অধ্যক্ষকে বদলি, দায়িত্বে শাহেলা পারভীন
মিয়ানমারে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্থদের সহায়তায় বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সফল মানবিক মিশন সমাপ্ত
মিয়ানমারে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্থদের সহায়তায় বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সফল মানবিক মিশন সমাপ্ত
নতুন করে সবাইকে নিয়ে চলার সময় এসেছে : সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা
নতুন করে সবাইকে নিয়ে চলার সময় এসেছে : সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা
টানা পাঁচদিন মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির আভাস
টানা পাঁচদিন মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির আভাস
‘বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়’-এর নামে প্রজ্ঞাপন জারি
‘বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়’-এর নামে প্রজ্ঞাপন জারি
বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় ড. মুহাম্মদ ইউনূস
বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় ড. মুহাম্মদ ইউনূস
দেশের ১৭ অঞ্চলে ঝড়ের আভাস
দেশের ১৭ অঞ্চলে ঝড়ের আভাস
বিডিআর হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করতেই হবে : প্রধান উপদেষ্টা
বিডিআর হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করতেই হবে : প্রধান উপদেষ্টা
উন্মুক্ত স্থানে বর্জ্য পোড়ালে আইনগত ব্যবস্থা: পরিবেশ উপদেষ্টা
উন্মুক্ত স্থানে বর্জ্য পোড়ালে আইনগত ব্যবস্থা: পরিবেশ উপদেষ্টা
বিলুপ্তির পথে দেশীয় প্রজাতির মাছ রক্ষায় কাজ করতে হবে : মৎস্য উপদেষ্টা
বিলুপ্তির পথে দেশীয় প্রজাতির মাছ রক্ষায় কাজ করতে হবে : মৎস্য উপদেষ্টা
তিন মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে অধ্যাদেশ জারি
তিন মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে অধ্যাদেশ জারি
শিল্পীর বাড়িতে আগুনের ঘটনা গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছে প্রশাসন : প্রেস উইং
শিল্পীর বাড়িতে আগুনের ঘটনা গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছে প্রশাসন : প্রেস উইং
সর্বশেষ খবর
‌‘আমি তোমাকে ভালোবাসি’, রিশাদকে নিয়ে লাহোরের মালিক
‌‘আমি তোমাকে ভালোবাসি’, রিশাদকে নিয়ে লাহোরের মালিক

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শান্তি ও সহিষ্ণুতার পৃথিবী গড়তে তরুণদের প্রতি আহ্বান শিক্ষা উপদেষ্টার
শান্তি ও সহিষ্ণুতার পৃথিবী গড়তে তরুণদের প্রতি আহ্বান শিক্ষা উপদেষ্টার

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সরকারি টাকা নয়ছয়? স্পেনের প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ
সরকারি টাকা নয়ছয়? স্পেনের প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাকসু গঠনতন্ত্র অনুমোদন, নির্বাচন কমিশন গঠন
রাকসু গঠনতন্ত্র অনুমোদন, নির্বাচন কমিশন গঠন

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

আড়াই বছর পর মায়ের কাছে ৯ বছরের রায়হান
আড়াই বছর পর মায়ের কাছে ৯ বছরের রায়হান

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ঢাকা পলিটেকনিকের অধ্যক্ষকে বদলি, দায়িত্বে শাহেলা পারভীন
ঢাকা পলিটেকনিকের অধ্যক্ষকে বদলি, দায়িত্বে শাহেলা পারভীন

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জৈবিক নারীই ‘নারী’: যুক্তরাজ্যের সুপ্রিম কোর্টের যুগান্তকারী রায়
জৈবিক নারীই ‘নারী’: যুক্তরাজ্যের সুপ্রিম কোর্টের যুগান্তকারী রায়

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘ফ্রি কনভার্টার’ লিখে সার্চ করছেন? ক্লিকেই ঝুঁকিতে স্মার্টফোন ও কম্পিউটার
‘ফ্রি কনভার্টার’ লিখে সার্চ করছেন? ক্লিকেই ঝুঁকিতে স্মার্টফোন ও কম্পিউটার

২ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

আবারও নিষিদ্ধ অ্যাথলেট জহির রায়হান
আবারও নিষিদ্ধ অ্যাথলেট জহির রায়হান

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বসুন্ধরা শুভসংঘের মৌলভীবাজার শাখার কমিটি ঘোষণা
বসুন্ধরা শুভসংঘের মৌলভীবাজার শাখার কমিটি ঘোষণা

৩ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

মিয়ানমারে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্থদের সহায়তায় বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সফল মানবিক মিশন সমাপ্ত
মিয়ানমারে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্থদের সহায়তায় বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সফল মানবিক মিশন সমাপ্ত

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাকাগামী ট্রাকে মিলল কোটি টাকার চোরাই শাড়ি ও থ্রি-পিস
ঢাকাগামী ট্রাকে মিলল কোটি টাকার চোরাই শাড়ি ও থ্রি-পিস

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভাস্কর মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়িতে আগুনের ঘটনায় ঢাবি সাদা দলের নিন্দা
ভাস্কর মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়িতে আগুনের ঘটনায় ঢাবি সাদা দলের নিন্দা

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

'কৃষকরা ১৫ বছরে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি'
'কৃষকরা ১৫ বছরে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি'

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

স্ত্রীকে হত্যায় স্বামীসহ ২ জনের মৃত্যুদণ্ড
স্ত্রীকে হত্যায় স্বামীসহ ২ জনের মৃত্যুদণ্ড

৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সৌদি আরবে আবাসিক কর্মীদের জন্য ডিজিটাল হজ পারমিট চালু
সৌদি আরবে আবাসিক কর্মীদের জন্য ডিজিটাল হজ পারমিট চালু

৪ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

নতুন করে সবাইকে নিয়ে চলার সময় এসেছে : সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা
নতুন করে সবাইকে নিয়ে চলার সময় এসেছে : সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নাটোরে শিশু হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন
নাটোরে শিশু হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

টানা পাঁচদিন মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির আভাস
টানা পাঁচদিন মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির আভাস

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমধ্যসাগরে প্রতিদিন গড়ে এক শিশুর মৃত্যু
ভূমধ্যসাগরে প্রতিদিন গড়ে এক শিশুর মৃত্যু

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাতক্ষীরায় ভারতীয় থ্রি পিসসহ অন্যান্য সামগ্রী আটক
সাতক্ষীরায় ভারতীয় থ্রি পিসসহ অন্যান্য সামগ্রী আটক

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পারমাণবিক বোমার মালিক হওয়া থেকে দূরে নেই ইরান: আইএইএ প্রধান
পারমাণবিক বোমার মালিক হওয়া থেকে দূরে নেই ইরান: আইএইএ প্রধান

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চীনের কর্মকাণ্ডে ট্রাম্পের ভয়, ওয়াশিংটনের বিরুদ্ধে জোট গঠনের পথে বেইজিং
চীনের কর্মকাণ্ডে ট্রাম্পের ভয়, ওয়াশিংটনের বিরুদ্ধে জোট গঠনের পথে বেইজিং

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বজ্রপাতে নারীর মৃত্যু
বজ্রপাতে নারীর মৃত্যু

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়’-এর নামে প্রজ্ঞাপন জারি
‘বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়’-এর নামে প্রজ্ঞাপন জারি

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যৌন হয়রানির অভিযোগে আটক ১
যৌন হয়রানির অভিযোগে আটক ১

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

যশোরে ইয়াবাসহ আটক ১
যশোরে ইয়াবাসহ আটক ১

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাজধানীতে শিগগিরই প্রবাসী হাসপাতাল হবে
রাজধানীতে শিগগিরই প্রবাসী হাসপাতাল হবে

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ট্যাংক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের শীর্ষে ইরান
ট্যাংক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের শীর্ষে ইরান

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মালয়েশিয়া পাচারের পর নিখোঁজ ভাইয়ের সন্ধানে মামলা
মালয়েশিয়া পাচারের পর নিখোঁজ ভাইয়ের সন্ধানে মামলা

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সর্বাধিক পঠিত
নব্য আওয়ামী লীগের প্রস্তুতি, নেতৃত্বে থাকবেন না শেখ হাসিনা : আনন্দবাজার
নব্য আওয়ামী লীগের প্রস্তুতি, নেতৃত্বে থাকবেন না শেখ হাসিনা : আনন্দবাজার

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের নির্দিষ্ট ডেডলাইন দেননি: মির্জা ফখরুল
প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের নির্দিষ্ট ডেডলাইন দেননি: মির্জা ফখরুল

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গণঅধিকার পরিষদ ছাড়লেন ফাতিমা তাসনিম, তবে রাজনীতি না
গণঅধিকার পরিষদ ছাড়লেন ফাতিমা তাসনিম, তবে রাজনীতি না

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইসরায়েলের পানি ও আকাশ পথকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে ইয়েমেন
ইসরায়েলের পানি ও আকাশ পথকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে ইয়েমেন

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তিন এমপির পরশে ‘ফকির’ হয়ে উঠে ধনী
তিন এমপির পরশে ‘ফকির’ হয়ে উঠে ধনী

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরমাণু আলোচনা নিয়ে প্রথমবার মুখ খুললেন খামেনি
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরমাণু আলোচনা নিয়ে প্রথমবার মুখ খুললেন খামেনি

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিছানার নিচে লুকিয়ে ভয়ঙ্কর বিষ, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিশুর মস্তিষ্ক
বিছানার নিচে লুকিয়ে ভয়ঙ্কর বিষ, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিশুর মস্তিষ্ক

১২ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা জুলাইয়ে
জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা জুলাইয়ে

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লন্ডনে খালেদা জিয়ার সঙ্গে জামায়াত আমিরের সাক্ষাৎ
লন্ডনে খালেদা জিয়ার সঙ্গে জামায়াত আমিরের সাক্ষাৎ

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সম্পত্তি বেচতে ক্রেতা খুঁজছেন দেশ ছেড়ে পালানো নসরুল হামিদ
সম্পত্তি বেচতে ক্রেতা খুঁজছেন দেশ ছেড়ে পালানো নসরুল হামিদ

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পারমাণবিক বোমার মালিক হওয়া থেকে দূরে নেই ইরান: আইএইএ প্রধান
পারমাণবিক বোমার মালিক হওয়া থেকে দূরে নেই ইরান: আইএইএ প্রধান

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চেয়েছে বিএনপি: আসিফ নজরুল
ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চেয়েছে বিএনপি: আসিফ নজরুল

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেত্রীকে আটক করে পুলিশে দিল ছাত্রদল
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেত্রীকে আটক করে পুলিশে দিল ছাত্রদল

১৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

স্ত্রীসহ স্বাস্থ্য অধিদফতরের গাড়ি চালক মালেকের কারাদণ্ড
স্ত্রীসহ স্বাস্থ্য অধিদফতরের গাড়ি চালক মালেকের কারাদণ্ড

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ানোর উপায়
মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ানোর উপায়

১৫ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় ড. মুহাম্মদ ইউনূস
বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় ড. মুহাম্মদ ইউনূস

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রমজানের আগেই নির্বাচন চায় জামায়াত
রমজানের আগেই নির্বাচন চায় জামায়াত

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শিগগিরই ইউরোপে ভিসা-মুক্ত ভ্রমণ সুবিধা পাবেন সৌদি নাগরিকরা
শিগগিরই ইউরোপে ভিসা-মুক্ত ভ্রমণ সুবিধা পাবেন সৌদি নাগরিকরা

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাশিয়ার মতো অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা রয়েছে মিশরের হাতে!
রাশিয়ার মতো অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা রয়েছে মিশরের হাতে!

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৎ মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবার যাবজ্জীবন
সৎ মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবার যাবজ্জীবন

১৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

১১১ রান করেও ১৬ রানে জিতে পাঞ্জাবের ইতিহাস, বিপর্যয়ে কেকেআর
১১১ রান করেও ১৬ রানে জিতে পাঞ্জাবের ইতিহাস, বিপর্যয়ে কেকেআর

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

গাজার মানুষের দুর্দশা বন্ধ করুন, নেতানিয়াহুকে ফ্রান্স প্রেসিডেন্ট
গাজার মানুষের দুর্দশা বন্ধ করুন, নেতানিয়াহুকে ফ্রান্স প্রেসিডেন্ট

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বোলিংয়ে ঝলক দেখিয়ে রিশাদের আবারও ৩ উইকেট
বোলিংয়ে ঝলক দেখিয়ে রিশাদের আবারও ৩ উইকেট

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ছয় দফা আদায়ে সাতরাস্তা মোড় অবরোধ পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের
ছয় দফা আদায়ে সাতরাস্তা মোড় অবরোধ পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের

১৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

দুই ধাপ পরই ক্রিকেটার নাসির ও তামিমার মামলার রায়
দুই ধাপ পরই ক্রিকেটার নাসির ও তামিমার মামলার রায়

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

যে কারণে ৯৮ দিনে ৮৫ হাজার ভারতীয়কে ভিসা দিল চীন
যে কারণে ৯৮ দিনে ৮৫ হাজার ভারতীয়কে ভিসা দিল চীন

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রক্তচাপ মাপার সঠিক নিয়ম জানতে হবে
রক্তচাপ মাপার সঠিক নিয়ম জানতে হবে

১৬ ঘণ্টা আগে | হেলথ কর্নার

ট্যাংক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের শীর্ষে ইরান
ট্যাংক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের শীর্ষে ইরান

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আজ ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব
আজ ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
বিএনপি এখন কী করবে
বিএনপি এখন কী করবে

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপি ধ্বংস মিশনে প্রথম আলো
বিএনপি ধ্বংস মিশনে প্রথম আলো

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশ ফেরত চাইবে ৪৫২ কোটি ডলার
বাংলাদেশ ফেরত চাইবে ৪৫২ কোটি ডলার

প্রথম পৃষ্ঠা

আলোচনার পর উত্তাপ
আলোচনার পর উত্তাপ

প্রথম পৃষ্ঠা

চিকিৎসা শপিং ও ভ্রমণে পছন্দ এখন থাইল্যান্ড
চিকিৎসা শপিং ও ভ্রমণে পছন্দ এখন থাইল্যান্ড

পেছনের পৃষ্ঠা

যুক্তরাষ্ট্রে ১২০০ ব্যবসায়ীর জরিমানা মিলিয়ন ডলার
যুক্তরাষ্ট্রে ১২০০ ব্যবসায়ীর জরিমানা মিলিয়ন ডলার

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ফের সেই ভোগান্তির আন্দোলন
ফের সেই ভোগান্তির আন্দোলন

পেছনের পৃষ্ঠা

অন্নপূর্ণা জয়ের গল্প শোনালেন বাবর
অন্নপূর্ণা জয়ের গল্প শোনালেন বাবর

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রশাসন বিএনপির পক্ষে, এদের অধীনে নির্বাচন সম্ভব নয়
প্রশাসন বিএনপির পক্ষে, এদের অধীনে নির্বাচন সম্ভব নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

মৌসুমীর ফেরা না ফেরা
মৌসুমীর ফেরা না ফেরা

শোবিজ

অরক্ষিত রাজধানীর ফুটওভার ব্রিজ
অরক্ষিত রাজধানীর ফুটওভার ব্রিজ

রকমারি নগর পরিক্রমা

চলচ্চিত্রে পারিবারিক গল্প উধাও
চলচ্চিত্রে পারিবারিক গল্প উধাও

শোবিজ

বিডিআর হত্যার রহস্য উদ্‌ঘাটন করতে হবে
বিডিআর হত্যার রহস্য উদ্‌ঘাটন করতে হবে

পেছনের পৃষ্ঠা

রোজার আগে ভোট চায় জামায়াত
রোজার আগে ভোট চায় জামায়াত

প্রথম পৃষ্ঠা

সীমান্তে ঢুকে বাংলাদেশিকে হত্যা করল বিএসএফ
সীমান্তে ঢুকে বাংলাদেশিকে হত্যা করল বিএসএফ

প্রথম পৃষ্ঠা

ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে খায়রুল বাসার
ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে খায়রুল বাসার

শোবিজ

জুলাইয়ে ভোটের রোডম্যাপ
জুলাইয়ে ভোটের রোডম্যাপ

প্রথম পৃষ্ঠা

পাখিতে মুখর সরকার পুকুর
পাখিতে মুখর সরকার পুকুর

পেছনের পৃষ্ঠা

বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ জনগণই নির্ধারণ করবে
বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ জনগণই নির্ধারণ করবে

প্রথম পৃষ্ঠা

মুর্শিদাবাদে সহিংসতা পূর্বপরিকল্পিত
মুর্শিদাবাদে সহিংসতা পূর্বপরিকল্পিত

প্রথম পৃষ্ঠা

দেশীয় বিনিয়োগ সম্মেলন জরুরি
দেশীয় বিনিয়োগ সম্মেলন জরুরি

সম্পাদকীয়

ইতিহাসের অপেক্ষায়
ইতিহাসের অপেক্ষায়

মাঠে ময়দানে

এক লিগে তিন অধিনায়ক
এক লিগে তিন অধিনায়ক

মাঠে ময়দানে

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিগারের অভিষেক ২০১৫ সালে
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিগারের অভিষেক ২০১৫ সালে

মাঠে ময়দানে

উপস্থাপক ফেরদৌস ওয়াহিদ
উপস্থাপক ফেরদৌস ওয়াহিদ

শোবিজ

দুই ম্যাচে ছয় উইকেট
দুই ম্যাচে ছয় উইকেট

মাঠে ময়দানে

শোভাযাত্রার মোটিফ নির্মাণকারী শিল্পীর বাড়িতে আগুন
শোভাযাত্রার মোটিফ নির্মাণকারী শিল্পীর বাড়িতে আগুন

পেছনের পৃষ্ঠা

বন্ডের মাধ্যমে আত্মসাৎ ৮০০ কোটি
বন্ডের মাধ্যমে আত্মসাৎ ৮০০ কোটি

পেছনের পৃষ্ঠা

এবার কমেডি সিনেমায় প্রিয়াঙ্কা
এবার কমেডি সিনেমায় প্রিয়াঙ্কা

শোবিজ