বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেছেন, জায়নবাদী ইসরায়েল বিশ্বমানবতাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ফিলিস্তিনে ইতিহাসের জঘন্যতম মানবতাবিরোধী অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে। যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে গাজায় বোমা হামলা করে শত শত নারী ও শিশুকে নির্বিচারে হত্যা করছে। ইসরায়েলের এই গণহত্যা বন্ধে বিশ্বমুসলিমকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
সোমবার বিকেলে রাজধানীর বায়তুল মোকারম মসজিদের উত্তর গেটে গাজায় গণহত্যা বন্ধ করার দাবিতে সংহতি সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. ইরান বলেন, গাজায় বোমা হামলার ঘটনা শুধু মানবাধিকার লঙ্ঘনই নয়, এটি আন্তর্জাতিক আইন এবং মানবতার প্রতি চরম অবজ্ঞা। যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পরও ইসরায়েল গাজায় একের পর এক নির্মম বর্বরতা চালাচ্ছে। তাদের মদদ দিচ্ছে মানবতার বুলি আওড়ানো জাতিসংঘ ও আমেরিকা। সেখানে নিরপরাধ নিষ্পাপ শিশুদের ওপর যে বর্বরতা চালানো হচ্ছে, তা চরম মানবাধিকারের লঙ্ঘন।
তিনি বলেন, বিশ্বের এমন কোনো যুদ্ধ আইন নেই, যে আইনে গণহত্যা করা বৈধ। আমরা দেখছি, মানবতার ধোঁয়া ওড়ানো বিশ্ব মোড়লরা নিশ্চুপ। মসজিদুল আকসা এবং ফিলিস্তিনকে রক্ষা করার জন্য ওআইসি গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু তারা আজ নির্জীব।
সমাবেশে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাড. মহসিন রশিদ বলেন, জায়নবাদী ইসরায়েল গাজায় হামলা ও নির্মম গণহত্যা চালিয়ে বিশ্বের সাড়ে ৭০০ কোটি মানুষের অন্তরে আঘাত করেছে। এসব করে দখলদার আগ্রাসী ইসরায়েলি বাহিনীর শেষ রক্ষা হবে না। বরং অচিরেই ইসলাম ও মুসলমানদের চূড়ান্ত বিজয় নিশ্চিত হবে। ইতিহাস সাক্ষী মুসলমানরা কখনো পরাজিত হয়নি। বরং সীমিত সামর্থ্য ও জনবল নিয়ে বিশাল কাফির বাহিনীর বিরুদ্ধে বিজয় অর্জন করেছে। তাই মুসলিম উম্মাহর বিচলিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। চূড়ান্ত বিজয় গাজা ও ফিলিস্তিনবাসীর জন্য অপেক্ষা করছে।
সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন লেবার পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান এস এম ইউসুফ আলী, মহাসচিব খন্দকার মিরাজুল ইসলাম, যুগ্ম মহাসচিব মুফতি তরিকুল ইসলাম সাদি ও সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক কমরেড নুরুল ইসলাম।
বিডি প্রতিদিন/কেএ