দিনাজপুর সরকারি কলেজের জীববিজ্ঞান ভবনের পেছনে দাঁড়িয়ে আছে বিরল প্রজাতির বিলুপ্ত প্রায় কেলি কদম গাছ। গাছটিতে বর্ষায় নিয়মিত ফুল ফুটলেও ফল ধরে না। এই গাছ থেকে সাধারণ নিয়মে চারাও হয় না। দিনাজপুর ছাড়া উত্তরবঙ্গে এ উদ্ভিদের অস্তিত্ব অন্য কোথাও পাওয়া যায় না। তাই কেলি কদম গাছটি নিয়ে অনেকে গবেষণা ও পর্যবেক্ষণ চালিয়ে যাচ্ছেন গবেষকরা।
কলেজের উত্তর-পশ্চিম কোণে জীববিজ্ঞান ভবনের পেছনে গাছটি রয়েছে। প্রায় ৫০ ফুট উঁচু শাখা-প্রশাখাযুক্ত গাছটির সঠিক বয়স জানা না গেলেও শত বছর বলে ধারণা করা হয়। অনেক চেষ্টার পরও এ গাছের চারা করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন কলেজটির সহযোগী অধ্যাপক ও উদ্ভিদ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান দেলোয়ার হোসেন। কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের তথ্য মতে, কাস্টল উদ্ভিদটির পাতা কর্ডেট এবং বড় বড় আকৃতির। ফুলটি কদম ফুলের মতো তবে তুলণামূলক খুবই ক্ষুদ্রাকৃতির। বিভাগের শিক্ষকরা উদ্ভিদটির বংশবিস্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে দিনাজপুর সরকারি কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান দেলোয়ার হোসেন জানান, দুর্লভ প্রজাতির এ উদ্ভিদ অত্র অঞ্চলে আর কোথাও নেই। গাছটি থেকে গত ২৩ বছর পর্যবেক্ষণ করেও চারা উৎপাদন করা সম্ভব হয়নি। বিভিন্ন পদ্ধতি প্রয়োগ করে চারা উৎপাদনের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
তিনি আরও জানান, উদ্ভিদটি গাজীপুরের মধুপুর শালবনে থাকার তথ্য জানা যায়। তবে এ গাছটি বিলুপ্তির পথে। টিস্যু কালচার পদ্ধতি প্রয়োগ করে বিলুপ্ত প্রজাতির গাছটির চারা উৎপাদনে উন্নত গবেষণা হতে পারে। এজন্য দেশ-বিদেশের উদ্ভিদ গবেষকের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।