রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) বামপন্থি ছাত্র সংগঠনগুলোর মোর্চা গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের সঙ্গে শাহবাগবিরোধী ঐক্যমঞ্চের সংঘর্ষ হয়েছে। জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের মুক্তি কেন্দ্র করে গতকাল রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেট, লাইব্রেরির পাশ ও প্যারিস রোডে এসব সংঘর্ষ ঘটে। এতে অন্তত নয়জন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলনের আহ্বায়ক তারিক আশরাফ, ছাত্র-গণ মঞ্চের আহ্বায়ক নাসিম সরকার, ছাত্র ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ কাউসার আহমেদ ও সদস্য আহমেদ ইমতিয়াজ এবং শাহবাগবিরোধী ঐক্যমঞ্চের শাহরিয়ার তারিফ, তরিকুল, সাইফুল ইসলাম, নুরুল ইসলাম শহীদ ও জি এ সাব্বির।
জানা গেছে, এ টি এম আজহারের মুক্তির প্রতিবাদে সন্ধ্যায় পরিবহন মার্কেটে মশালমিছিল বের করেন গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের নেতা-কর্মীরা। একই সময় শাহবাগীদের বিচার দাবিতে ক্যাম্পাসের বুদ্ধিজীবী চত্বরে বিক্ষোভ শুরু করেন শাহবাগবিরোধী ঐক্যমঞ্চের নেতা-কর্মীরা। মিছিলটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে পরিবহন মার্কেটে সমাবেশে মিলিত হয়। তখন শাহবাগবিরোধী ঐক্যমঞ্চের কিছু কর্মী ছাত্র জোটের মিছিলে হামলা চালান। এরপর উভয় সংগঠনের বিক্ষোভ লাইব্রেরির পাশের সড়কে গেলে সেখানেও সংঘর্ষ হয়। ছাত্র জোটের নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে প্যারিস রোডে গেলে আবার শাহবাগবিরোধী ঐক্যমঞ্চের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি রাকিব হোসেন বলেন, ‘আমাদের শান্তিপূর্ণ মশালমিছিল চলছিল। এ সময় পরিকল্পিতভাবে আমাদের ওপর হামলা চালায় ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা। এ হামলার বিচার চাই।’ শাহবাগবিরোধী ঐক্যমঞ্চের আহ্বায়ক রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘এ টি এম আজহারের বিষয়ে রাষ্ট্র একটি রায় দিয়েছে। অথচ এ শাহবাগীরা সেটা বিতর্কিত করছে। আমাদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে তারা হামলা করেছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছি। এ ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এদিকে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের ওপর হামলার ঘটনায় শিবিরকে দায়ী করে বিক্ষোভ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। সংগঠনটির আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, ‘ঢাবিতে সাম্য হত্যা ও রাবিতে বাম ছাত্র সংগঠনের মশালমিছিলে শিবিরের হামলা একই সূত্রে গাঁথা। শিবিরের এ হামলা প্রমাণ করে তারা শান্তিপূর্ণ রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না।