বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লস। গতকাল এক বিবৃতিতে তিনি এ শুভেচ্ছা জানান।
বিবৃতিতে ব্রিটিশ রাজা রাষ্ট্রপতিকে বলেন, স্বাধীনতা দিবসের শুভক্ষণে আপনাকে এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাতে পেরে আমি এবং আমার স্ত্রী অত্যন্ত আনন্দিত। আমাদের দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধন এবং বিশেষ বন্ধুত্ব অত্যন্ত মূল্যবান।
কমনওয়েলথ জাতিসমূহের অংশ হতে পেরে আমি গর্বিত। আমি নিশ্চিত যে, এটি বর্তমান সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তরুণদের অনুপ্রেরণামূলক হিসেবে গড়ে তুলবে। কমনওয়েলথজুড়ে আমাদের অমূল্য সংযোগগুলো আগের চেয়েও বেশি মূল্যবান। আমাদের অবশ্যই এখন এবং ভবিষ্যতে সব কমনওয়েলথ নাগরিকের সুবিধার জন্য তাদের পরিচর্যা করতে হবে। তিনি বলেন, জলবায়ু কর্মকাণ্ডে আমাদের অংশীদারত্ব শক্তিশালী, অভিযোজন এবং স্থিতিস্থাপকতার প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করার জন্য একটি যৌথ উচ্চাকাক্সক্ষা দ্বারা পরিচালিত। আমাদের দেশ এবং জনগণের জন্য একটি নিরাপদ এবং টেকসই ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার জন্য একসঙ্গে কাজ করা উচিত।
একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় যুক্তরাষ্ট্রের : বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি বলছে, বাংলাদেশের উজ্জ্বল ও গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাওয়ার যাত্রাকে সমর্থন করে ওয়াশিংটন। পাশাপাশি উভয় দেশকে শক্তিশালী এবং সমৃদ্ধ করতে একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে গতকাল এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। বিবৃতিতে মার্কো রুবিও বলেন, বিশেষ দিনটি উদ্যাপনের এ সময়ে আমি বাংলাদেশের জনগণের প্রতি উষ্ণ শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে আমাদের উভয় জাতিকে নিরাপদ, শক্তিশালী এবং আরও সমৃদ্ধ করার জন্য একসঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপন করছে, যখন অন্তর্বর্তী সরকার জাতিকে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত করছে। এ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের জনগণ তাদের এগিয়ে যাওয়ার পথ বেছে নেওয়ার সুযোগ পাবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তায় আমাদের অংশীদারি অব্যাহত রাখতে আগ্রহী।