গাজীপুরে বকেয়া বেতন দাবি নিয়ে শ্রমিক মারধরের ঘটনা কেন্দ্র করে নাওজোড়ে ক্যামিও ইউএসএ নিটওয়্যার কারখানায় শ্রমিক বিক্ষোভ হয়েছে। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা কারখানায় ভাঙচুর ও গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেন। এ সময় তারা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। এ ছাড়া কালিয়াকৈরেও মহাসড়ক অবরোধ করেন শ্রমিকরা। এ বিষয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) বাসন থানার ওসি কায়সার আহমেদ জানান, ওই কারখানার শ্রমিকরা বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের ওপরে হামলার প্রতিবাদে সকাল ৮টা থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। এতে ভোগড়া বাইপাস সড়ক দিয়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দুপুর ১২টার দিকে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ শ্রমিকদের সড়ক থেকে সরিয়ে দিলে ওই সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। ঘটনাস্থল থেকে চারজনকে আটক করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে কারখানার প্রশাসন বিভাগের নাজমা খাতুন জানান, কারখানার শ্রমিকদের বেতন দেওয়ার জন্য রাত ৩টা পর্যন্ত কাজ করা হয়। রাত হয়ে যাওয়ায় ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়া যায়নি। গতকাল বেতন দেওয়ার কথা ছিল। এর আগে কারখানার ডাইং এবং নিটিং সেকসনের শ্রমিকদের মধ্যে ঝামেলা হয়। মারধরের ঘটনার বিচার এবং বেতনের দাবিতে উত্তেজিত শ্রমিকরা কারখানায় তা ব চালায়।
এদিকে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলা মৌচাকে অবস্থিত গ্লোবাস কারখানার শ্রমিককে মারধরের ঘটনায় বিচারের দাবিতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করেন শ্রমিকরা। এতে সকাল ৮টা থেকে ওই মহাসড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে দুর্ভোগে পড়েন যাতায়াতকারীরা। শ্রমিক বিক্ষোভের কারণে মৌচাকের আশপাশের ১০টি কারখানা ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। দুপুর ১২টার দিকে পুলিশের হস্তক্ষেপে শ্রমিকরা মহাসড়ক থেকে সরে গেলে ওই সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২-এর পুলিশ সুপার এ কে এম জহিরুল ইসলাম বলেন, দুপুরের দিকে কালিয়াকৈর এলাকার শ্রমিকদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দিলে যান চলাচল শুরু হয়।