১০ বছর আগে শাহনূর আলম নামে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এক ব্যবসায়ীকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগকে র্যাবের বিরুদ্ধে মামলা হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন হাই কোর্ট। গতকাল বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি সগীর হোসেন লিয়নের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ব্যবসায়ীকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগকে মামলা হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ সংশোধন করে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের দেওয়া আদেশ বাতিল প্রশ্নে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে এ রায় দেন আদালত। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার আশরাফ রহমান। এর আগে ৩০ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ব্যবসায়ীকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগকে মামলা হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ সংশোধন করে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের দেওয়া আদেশ বাতিল প্রশ্নে জারি করা রুলের শুনানি শেষে রায়ের জন্য গতকালের দিন ধার্য করা হয়। র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব-১৪-এর ৯ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২০১৪ সালের ১ জুন একটি নালিশি আবেদন করেন শাহনূরের ভাই মেহেদি হাসান। অভিযোগে বলা হয়, ২০১৪ সালের ২৯ এপ্রিল শাহনূরকে র্যাব-১৪-এর সদস্যরা বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে নির্যাতন করেন। পরে ৬ মে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শাহনূর মারা যান। শাহনূরের ভাইয়ের অভিযোগে বলা হয়, র্যাবের নির্যাতনে শাহনূরের মৃত্যু হয়েছে।
পরবর্তী সময়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নির্যাতনে শাহনূরের মৃত্যুর অভিযোগের আবেদনটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করে সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেন। কিন্তু এই আদেশের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতে রিভিশন আবেদন করেন অভিযুক্ত এক র্যাব সদস্য। সে আবেদনের শুনানি নিয়ে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আদেশ বাতিল করে নবীনগর থানার ওসিকে বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন জেলা ও দায়রা জজ আদালত। তবে এই আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে আবেদন করেন শাহনূরের ভাই মেহেদি হাসান। ২০১৪ সালের ১৬ জুলাই বিচারপতি শওকত হোসেন ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের হাই কোর্ট বেঞ্চ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আদেশ সংশোধন করে জেলা দায়রা জজ আদালতের দেওয়া আদেশ কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন।