জনতা ব্যাংকের কাছে বেক্সিমকো গ্রুপের মোট দেনার পরিমাণ ২৩ হাজার ৪০৭ কোটি টাকা; যার মধ্যে ১৯ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা মন্দ ঋণ হিসেবে শ্রেণিকৃত। বাকি ৩ হাজার ৩৯৪ কোটি টাকা ওভারডিউ অবস্থায় রয়েছে। বেক্সিমকো টেক্সটাইলস অ্যান্ড পিপিই ডিভিশনের আওতায় মোট ১৫টি প্রস্তুতকারক কোম্পানি রয়েছে, যার মধ্যে বর্তমানে মাত্র তিনটি কোম্পানি- বেক্সিমকো লিমিটেড, বেক্সিমকো পিপিই লিমিটেড এবং আরআর ওয়াশিং লিমিটেড চালু রয়েছে। উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সিদ্ধান্তে বাকি ১২টি কোম্পানি ১৬ ডিসেম্বর থেকে লে-অফ ঘোষণা করা হয়েছে। এতে অনেক পরিবার পথে বসার উপক্রম হয়েছে। কর্মহীন হয়ে পড়া শ্রমিকরা কারখানা চালু করতে আন্দোলন করছেন। চাকরি হারা কর্মীরা এখন কঠিন শর্ত মেনেও কারখানা চালু রেখে আয় বাড়িয়ে চাকরি টিকিয়ে রাখতে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সচল রাখতে চান। কর্মসংস্থান টিকিয়ে রাখা এবং রপ্তানি অব্যাহত রাখার মাধ্যমে দীর্ঘ মেয়াদে ব্যাংকের দায়দেনা পরিশোধ করতে জনতা ব্যাংককে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বেক্সিমকো। এজন্য দুই বছরের মোরাটোরিয়াম সুবিধাসহ ৫ শতাংশ সুদে ১৫ বছর মেয়াদে পুনঃতফসিল করার অনুরোধ জানিয়েছে ব্যাংকের কাছে। এ ছাড়া পরিচালন ব্যয় মেটাতে রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংকের কাছে স্বল্পমেয়াদি অর্থায়ন হিসেবে ৪০০ কোটি টাকার ক্যাশ ক্রেডিট (সিসি) ঋণ সুবিধা চেয়েছে বেক্সিমকো লিমিটেড। পাশাপাশি টেক্সটাইল ও অ্যাপারেল কারখানাগুলো চালু রাখতে ব্যাক-টু-ব্যাক এলসি খোলার সুযোগও চেয়েছে। বেক্সিমকো লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওসমান কায়সার চৌধুরী ১৬ জানুয়ারি জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালককে চিঠি পাঠিয়ে বলেছেন, বেক্সিমকো টেক্সটাইল রপ্তানিমুখী কোম্পানিগুলোর অতিরিক্ত খরচ কমানো এবং কঠোর মনিটরিংয়ের মাধ্যমে ২০২৫ ও ২০২৬ সালে কোম্পানির মুনাফা বাড়ানো সম্ভব। তিনি বলেছেন, ‘২০২৫ সালে আমাদের কাছে মাত্র ৩০ কোটি টাকা নগদ উদ্বৃত্ত আছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে প্রয়োজনীয় ব্যয়ের চেয়ে রাজস্ব ও বিক্রি খুবই কম হওয়ায় এমনটা হয়েছে। এরই মধ্যে ছাঁটাই হওয়া কর্মীদের পাশাপাশি ৮ হাজার শ্রমিক ও ৫০০ পরিচালন কর্মকর্তা ছাঁটাইয়ের প্রয়োজন হবে। তবে আমরা যদি গত প্রান্তিকের মুনাফা দেখি, তাহলে প্রতি মাসে প্রায় ৪০ কোটি টাকার নগদ উদ্বৃত্ত আশা করা যায়। এতে ২০২৬ সালে কারখানা পূর্ণ সক্ষমতায় চালু রাখা সম্ভব বলে আমরা সুনিশ্চিত। আমরা সর্বোচ্চ মাত্রায় উৎপাদন করতে পারলে ২০২৬ সালে ৫৩৬ কোটি টাকা মুনাফা হবে বলে আশা করছি।’ জনতা ব্যাংকের তথ্য মতে, ২০২০ সালে বেক্সিমকো লিমিটেড ৬ হাজার ১১১ কোটি টাকার পণ্য রপ্তানি করে, ২০২৩ সালে যা ছিল ৩ হাজার ৭৬৬ কোটি এবং ২০২৪ সালে ৩ হাজার ৫২ কোটি টাকা। জুলাই মাসে বেক্সিমকো টেক্সটাইলের কারখানাগুলোতে মোট শ্রমিক-কর্মকর্তার সংখ্যা ছিল ৪৪ হাজার ৬৪৯, যার মধ্যে শ্রমিকের সংখ্যা ছিল ৪২ হাজার ৬৯৯। হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে ৯ হাজার ৭৭৮ জন শ্রমিকসহ মোট ১০ হাজার ১১২ জনকে ছাঁটাই করা হয়েছে। বেক্সিমকো গ্রুপের পরিকল্পনা অনুযায়ী, আগামী মে মাসের মধ্যে আরও ৮ হাজার শ্রমিক ও ৫০০ কর্মকর্তা কমানো হবে। এতে বেক্সিমকো টেক্সটাইলে শ্রমিক-কর্মচারীর সংখ্যা দাঁড়াবে ২৬ হাজার ৩৭ জন। এ বিষয়ে বেক্সিমকো গার্মেন্ট ডিভিশনের প্রশাসন বিভাগের প্রধান আবদুল কাইয়ুম বলেন, সব প্রতিষ্ঠান বিক্রি করে দিলে সাড়ে ১৫ হাজার কোটি টাকা আসবে। কিন্তু কর্মী ছাঁটাইসহ অন্যান্য দেনা মেটাতে ২২ হাজার কোটি টাকার প্রয়োজন হবে। তাই ব্যাংকে এলসি খোলার অনুমতি দেওয়া হলে কারখানা চালু থাকলে রপ্তানি হবে। আয়ের অর্থ দিয়ে কারখানার পরিচালন ব্যয় ও শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করে লাভের টাকা ব্যাংক কিস্তি হিসেবে রেখে দেবে।
শিরোনাম
- সাতসকালে লোহাগাড়ায় বাস-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে নিহত ৫
- ভোলায় সংঘর্ষে বিএনপি নেতা নিহত, আহত ৬
- বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্রই আর টিকবে না : ফয়েজ আহম্মদ
- হবিগঞ্জে ১২ গ্রামে সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত অর্ধশত
- গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত
- তথ্য উপদেষ্টার বাবার ওপর হামলায় বিএনপি নেতা এ্যানির দুঃখ প্রকাশ
- ঘোড়ার গাড়িতে ইমামের বিদায়, ৯ লাখ টাকার সংবর্ধনা
- ঝিনাইদহে ঈদ উপলক্ষে ভিন্নধর্মী ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা
- লক্ষ্মীপুরে ৬ বছরের শিশু গুলিবিদ্ধ
- মুক্তির একদিন পরই বাড়ল ‘জংলি’র শো
- "ব্যাংকিং সেক্টরের সংস্কার দরকার, যা বর্তমান সরকার এককভাবে করতে পারবে না"
- সংস্কারের নামে নির্বাচনকে দীর্ঘায়িত করার সুযোগ নেই : কাদের গনি চৌধুরী
- যশোরের অভয়নগরে ফুচকা খেয়ে অসুস্থ দেড় শতাধিক
- দক্ষিণ আফ্রিকার দায়িত্ব ছাড়লেন ওয়াল্টার
- রাজশাহীতে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আরও একজনের মৃত্যু
- ঈদে কাতার মাতিয়ে গেলেন বাংলাদেশি একঝাঁক তারকা
- জনগণের সাথে সম্পর্ক তৈরি করাই প্রধান কাজ: মির্জা ফখরুল
- 'সাড়ে ১২ বছরের ছেলে যুদ্ধের সময়ে মানুষ খুন করতে পারে—এটা বিশ্বাসযোগ্য কথা?'
- অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে, এখন আমরা স্বাধীন: রুমন
- নদীতে পড়ে গিয়ে নিখোঁজ কলেজছাত্রের লাশ উদ্ধার
ঋণ পরিশোধের শর্তে কারখানা চালু রাখতে চায় বেক্সিমকো
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর