নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের পূর্বাচলে মাসব্যাপী ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা প্রায় শেষের দিকে। গতকাল ছুটির দিন হওয়ায় মেলায় সকাল থেকেই সমুদ্র জোয়ারের মতো ক্রেতা-দর্শনার্থীর ঢল নামে। মাসব্যাপী চলা বাণিজ্য মেলার ২৯তম আসরের শেষ সপ্তাহে পণ্য বিক্রিতে চলছে ছাড়ের ছড়াছড়ি। সরকারি ছুটির দিনগুলোতে সকাল থেকেই বেড়ে যায় ক্রেতা দর্শনার্থীদের উপস্থিতি। মেলার টিকিট ইজারাদার প্রতিষ্ঠান ডিপি ইনফোটেক-এর অপারেশন ইনচার্জ এস এম আমিনুল ইসলাম বলেন, গতকাল মেলায় দুই লক্ষাধিক দর্শনার্থী প্রবেশ করেছে। এবারের মেলায় দেশবিদেশের ৩৬১টি স্টল, প্যাভিলিয়ন ও মিনি প্যাভিলিয়ন অংশ নিয়েছে, যার মধ্যে ১৮টি বিদেশি স্টল রয়েছে। স্থানীয় উদ্যোক্তারা তাঁদের পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রি করছেন। আশা করা হচ্ছে, এবারের মেলায় ৫০০ কোটি টাকার রপ্তানি আদেশ পাওয়া যাবে বলে ইপিবি জানিয়েছে।
মেলা ঘুরে দেখা যায়, স্টলে স্টলে স্ব-স্ব পণ্যে ছাড় দেওয়ার ঘোষণায় বেচাকেনা বিগত সময়ের চেয়ে বেড়েছে। কথা হয় মিনিস্টার ইলেকট্রনিক্সের প্যাভিলিয়নের বিক্রয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে। তারা জানান, তাদের পণ্যে ৩০% ছাড়সহ লাখপতি এমনকি কোটিপতি অফার ঘোষণা বেশ সাড়া ফেলেছে। কোম্পানির ম্যানেজার হাবিবউল্লাহ বলেন, মেলায় প্রদর্শনীকে প্রাধান্য দেওয়া হলেও বিক্রি বেড়েছে আগের তুলনায় বেশি। এ বছর লাখপতি আবার কোটিপতি অফার লুফে নিচ্ছেন গ্রাহকরা। ফলে ভালো সাড়া পেয়েছি। মিনিস্টার কোম্পানির অধীনে ইলেকট্রনিকস পণ্য ছাড়াও গৃহস্থালি পণ্যের বিক্রি আশানুরূপ হচ্ছে। এদিকে মাত্র ১৪ লাখে ৩ মাসে ইউরোপিয়ান আস্ত বাড়ি নিয়ে এসেছেন কে ওয়াই টো টোন। বাড়িটি দেখতে দর্শনার্থীদের ভিড় থাকলেও বুকিং নেই তেমন। পাশাপাশি জেলখানায় কয়েদিদের তৈরি পণ্য ক্রয়ে আগ্রহ দেখা গেছে ক্রেতাদের। বাড়ির বিক্রয় কর্মী আফরিন বলেন, গত বছর এ বাড়িটিকে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার পর আমাদের কোম্পানিতে সরাসরি বুকিং ভালো হয়েছে। তবে মেলা থেকে বুকিং কম থাকলেও উৎসুক লোকজন ছবি তুলছেন, ঘুরে দেখছেন- তাতে তৃপ্ত হয়েছি। মেলায় কারাপণ্যের প্রদর্শনী আর বিক্রয় সমানতালে চলছে। কথা হয় নারায়ণগঞ্জ ডেপুটি জেলার নাসির উদ্দীনের সঙ্গে। তিনি বলেন, কয়েদিরা তাদের তৈরি পণ্যের ৫০ ভাগ লভ্যাংশ পেয়ে থাকেন। আর বৃহত্তর প্রদর্শনী হিসেবে বাণিজ্যমেলার অপেক্ষায় থাকি আমরা। এখান থেকে এ পণ্যগুলোর প্রচার, বিক্রি হয়ে থাকে।