ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দায়িত্বরত ওয়ার্ডবয়দের দাবি করা ৫০০ টাকা না দেওয়ায় রোগীকে নিয়ে হেনস্তা ও অবহেলায় মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্বজনরা। এ ছাড়া ওই রোগীর স্বজনদেরও মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি নিয়ে তাঁরা হাসপাতালের পরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
গতকাল দুপুরে হাসপাতালটির কার্ডিওলজি বিভাগে এ ঘটনা ঘটে। মারা যাওয়া ওই রোগীর নাম স্বপ্না হালদার (৩২)। তিনি জেলার ভাঙ্গা উপজেলার কাউলিবেড়া ইউনিয়নের বিশোরীকান্দি গ্রামের প্রাণকৃষ্ণ বালার মেয়ে এবং পার্শ্ববর্তী মাদারপুরের রাজৈর উপজেলার খালিয়া গ্রামের রমেন হালদারের স্ত্রী। তাঁর ছোট দুই শিশুসন্তান রয়েছে। মারা যাওয়া রোগীর স্বামী রমেন হালদার জানান, ‘শনিবার বিকালে স্বপ্নার বুকে ব্যথা হলে রাত ৯টার দিকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয়। এর পর ডাক্তাররা ভালো চিকিৎসাও দিয়েছেন এবং অনেকটা সুস্থও হয়ে উঠেছিল। আজ (গতকাল) সকালে হাসপাতালের দুজন স্টাফ এসে টাকা দাবি করে এবং টাকা না দেওয়ায় জোর করে অন্য একটি বেডে পাঠিয়ে দেয়।
রোগীকে ওই বেডে নিয়ে ফেলে দেয়। তখন তার ক্যানোলা দিয়ে রক্ত উঠে যায় এবং অক্সিজেনও ঠিকমতো লাগিয়ে দেয়নি। ওই সময় স্বপ্না জানান, তার বুকে বেশি ব্যথা হচ্ছে। এর দুই মিনিটের মধ্যেই স্বপ্না মারা যায়। আমি এর বিচার চাই।’
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে হাসপাতালের পরিচালক ডা. হুমায়ুন কবির বলেন, এ ধরনের অন্যায় করে থাকলে অবশ্যই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।