ফরিদপুরে বিয়ের পাত্রী দেখতে যাওয়ার পথে ট্রেন ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে দুই নারীসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন। গতকাল দুপুর সোয়া ১২টার দিকে সদর উপজেলার গেরদা ইউনিয়নের রাজবাড়ী-ভাঙ্গা রেলপথের হোসেনের দোকানের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- নারায়ণগঞ্জ বন্দর থানার ভূঁইয়াপাড়ার ব্যবসায়ী মামুন চৌধুরী লিটন (৫০), তার স্ত্রী ফাহমিদা শারমিন মুন (৪৫), মেয়ে সাজিয়া সাজু (২৭), মামুন চৌধুরীর শ্যালকের স্ত্রী আতিফা (২৫) ও তাদের আত্মীয় উম্মে তাফসুমা রিনতু (৩০)। আহতদের মধ্যে স্থানীয় এক চা দোকানিসহ তিনজনকে ফরিদপুর মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। দুর্ঘটনার পর স্থানীয় বিক্ষুব্ধরা রেলপথ অবরোধ করে রাখেন। এ সময় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার গেটম্যান রাখার প্রতিশ্রুতি দিলে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মধুমতী এক্সপ্রেস নামের ট্রেনটি খুলনা থেকে ফরিদপুর হয়ে ঢাকা যাচ্ছিল। অন্যদিকে মাইক্রোবাসটি মুন্সিবাজার হয়ে হোসেনের দোকানের সামনে দিয়ে রেল ক্রসিং পার হচ্ছিল। এ সময় যাত্রীবাহী মাইক্রোবাসটি রেল ক্রসিংয়ে ওঠা মাত্রই দ্রুতগামী ট্রেনের ধাক্কায় ছিটকে রাস্তা থেকে পূর্ব পাশের খাদে পড়ে যায়। এ সময় মাইক্রোবাসটির গ্যাস সিলিন্ডারে আগুন ধরে যায়। এ সময় ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনজন। হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও দুজন মারা যান। স্থানীয় চা দোকানি হোসেন আলী জানান, ট্রেনের সঙ্গে মাইক্রোবাসটির সংঘর্ষ হলে মাইক্রোবাসটি কিছুটা দূরে গিয়ে ছিটকে খাদে পড়ে আগুন ধরে যায়। পরে স্থানীয়রা আগুন নেভাতে সক্ষম হলেও মাইক্রোবাসের ভিতর থেকে কাউকে উদ্ধার করতে পারেনি। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার কাজে অংশ নেন। পুলিশ জানায়, মাইক্রোবাসে চালকসহ মোট সাতজন ছিলেন। তারা বিয়ের পাত্রী দেখতে ফরিদপুরের সদরপুরে যাচ্ছিলেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মামুন চৌধুরীর মেয়ে তাছরি (২২) জানান, তারা ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার চন্দ্রপাড়ায় যাচ্ছিলেন বিয়ের জন্য পাত্রী দেখতে। তবে কার বিয়ের জন্য পাত্রী দেখতে গিয়েছিলেন তা জানাতে পারেননি তিনি। তাছরি বলেন, হঠাৎ করেই গাড়িটিকে ট্রেন ধাক্কা দিলে তার আর কিছুই মনে নেই। পরে দেখতে পান তিনি হাসপাতালে।