ইসরায়েলি অবরোধের কারণে গাজায় ফিলিস্তিনিরা চরম ক্ষুধার্ত অবস্থায় আছে। এ অবস্থায় আবারও যুদ্ধ শুরু হয়েছে। ইসরায়েল গাজায় যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে হামলা শুরু করেছে। ফলে লাখ লাখ ফিলিস্তিনি তীব্র খাদ্য ও পানির সংকটের সম্মুখীন হচ্ছে।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) জানিয়েছে, মানবিক ও বাণিজ্যিক উভয় ধরনের সরবরাহের জন্য সমস্ত সীমান্ত ক্রসিং পয়েন্ট বন্ধ করে দেওয়ার কারণে ২ মার্চ থেকে তারা গাজায় কোনো খাদ্য সরবরাহ পরিবহন করতে পারছে না। যার ফলে দাম বেড়ে গেছে। জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্ম সংস্থা গত সপ্তাহে সতর্ক করে দিয়েছিল। ইউএনআরডব্লিউএ প্রধান ফিলিপ লাজারিনি বলেছেন, গাজার পরিস্থিতি খুব দ্রুত অবনতি হচ্ছে। উদ্দেশ্য যাই হোক না কেন, এটি স্পষ্টতই গাজায় মানবিক সাহায্যের অস্ত্র প্রয়োগ। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সমস্ত জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করার পর ফিলিস্তিনিদের পানীয় জল সরবরাহকারী একটি প্ল্যান্টের বিদ্যুৎ বন্ধ করার ইসরায়েলের সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছে। গ্রুপটি সোশ্যাল মিডিয়ায় বলেছে, এ পদক্ষেপ অধিকৃত গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের গণহত্যার আরও প্রমাণ।
এদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং উপত্যকার সমস্ত হাসপাতাল ফিলিস্তিনিদের রক্তদানের জন্য আহ্বান জানাচ্ছে। এর কারণ হলো আহতদের সংখ্যা বেশি এবং রক্ত সরবরাহের তীব্র ঘাটতি রয়েছে। আহতদের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় মৌলিক চিকিৎসা সরঞ্জাম, যেমন গজ এবং ব্যথানাশক, স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও ঘাটতি রয়েছে। ১৭ দিন ধরে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ যে কোনো সাহায্য ট্রাক গাজায় প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। চিকিৎসকরা বলছেন, এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এ ছাড়া জ্বালানির ঘাটতি রয়েছে, যা সমস্ত চিকিৎসা সুবিধা ধ্বংসের ঝুঁকিতে ফেলছে। স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে, তারা ইসরায়েলি পক্ষকে এই সরবরাহগুলোকে উপত্যকায় প্রবেশ করতে দেওয়ার জন্য চাপ দিন। ফিলিস্তিনের গাজার বিভিন্ন স্থানে নতুন করে ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েল। -এএফপি
যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় দফা আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার পর অবরুদ্ধ ওই উপত্যকায় তাণ্ডব শুরু করে ইহুদিবাদী সেনারা। এতে ৩৩০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। এর মধ্যে বহু নারী ও শিশু রয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও অনেকে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। -আলজাজিরা