বাজেট নীতি ও অর্থনীতির গতিমুখ নিয়ে বিরোধের ধারাবাহিকতায় অর্থমন্ত্রীকে পদচ্যুত করার জেরে জোট সরকারের পতনের সাড়ে তিন মাস পর নতুন নির্বাচনে ভোট দিতে যাচ্ছে জার্মানি। আজ রবিবার এ ভোটের দিকে পুরো ইউরোপও আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে আছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। ইউরোপের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশের এবারের নির্বাচনে অভিবাসনবিরোধী কট্টর জাতীয়তাবাদী দল অল্টারনেটিভ ফর জার্মানির (এএফডি) ভোট ও আসন বাড়তে পারে বলে বিরোধীরা আশঙ্কা করছেন। দলটি এবার ২০ শতাংশের বেশি ভোট পেলে পার্লামেন্টে তাদের আসন দেড়শতে পৌঁছাতে পারে। জার্মানির পার্লামেন্টে মোট আসন সংখ্যা ৬৩০। তেমনটা হলে এএফডি সরকার গঠনে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। সেক্ষেত্রে জার্মানির নানান নীতিতে তাদের প্রাধান্য দেখা যেতে পারে।
দলটির নেতা অ্যালিস ওয়েইডেল তরুণ ভোটারদের আকৃষ্ট করতে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব। টিকটকে তার রয়েছে ৮ লাখ ৬৬ হাজার ফলোয়ার, যা তাকে প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় অনেক এগিয়ে রেখেছে। ইলন মাস্ক ও মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সও ওয়েইডেলকে সমর্থন করছেন। কট্টর ডানপন্থি এ দল জার্মানির সীমান্ত সুরক্ষিত করা এবং অবৈধ অভিবাসী ও অপরাধীদের বহিষ্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। মূলধারার প্রায় সব দলই এএফডির সঙ্গে জোটের সম্ভাবনা নাকচ করে দিলেও আজকের ভোটে কোনো একক দলের পক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন কঠিন বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। -বিবিসি